ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান।

তিনি কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। আর সংগ্রাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এড: জিয়াউল হক মৃধা ঈগল পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।

এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ছিল না। আসন সমঝোতায় জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। রেজাউল করিম স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার বড় মেয়ের জামাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান আম মার্কায় পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. আমজাদ হোসেন লাঙল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৮১৭ ভোট।