আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাবি এলাকায় জনস্রোত।
ঢাবি: প্রায় তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন । শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলন উপলক্ষে নেতা কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেমেছে জনতার ঢল।
প্রাণকেন্দ্র ঢাকা থেকে শুরু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশের রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
অনেকেই ভোর থেকেই অবস্থান নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। সেখান থেকেই তারা সম্মেলনস্থলে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের খেলার মাঠ, ও মল চত্বরসহ সব খালি জায়গা এখন বাস, কার ও ট্রাক দিয়ে পরিপূর্ণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিজ নিজ দলীয় ইউনিটের ব্যনারে সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা। প্রত্যাশা ও আগ্রহ নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীদের। কে হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক সেটা নিয়েও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে।
রংপুর উপজেলা কাউন্সিলর কুতুব উদ্দিন আশা করেন ২২ তম সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সামনে নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলীয় তৎপরতা ভালোভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম এমন নেতাই দরকার। ওবায়দুল কাদেরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওনার বয়স হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি তৃতীয় বার আসতেই পারেন।
আওয়ামী লীগ কর্মী আল আমিন এসেছেন চুয়াডাঙ্গা থেকে। তার মতে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগের এই সম্মেলন সাংগঠনিক দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেখতে চাই। সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের গত দুই বার ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার অসুস্থতাজনিত সমস্যা না থাকলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে পেতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে মূল উপজীব্য বিষয় থাকবে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়। সামনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এইবারের সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।