নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘের তদন্ত দলের প্রস্তাব অনুযায়ী পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার আনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি নতুন করে পুলিশের যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তা দেখার পর পুলিশ বাহিনীকে কোনোভাবেই সংস্কার সম্ভব কি না, কিংবা মানুষের আস্থা ফেরানো সম্ভব কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসবে, আপনি যদি তাদের কার্যপরিধি দেখেন, সেখানে উল্লেখ আছে এই ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সেজন্য সিকিউরিটি রিফর্মস কি কি নিতে হবে সেগুলোর ব্যাপারেও তারা আমাদেরকে বলবে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, আমরা ছোটবেলায় পড়েছিলাম দুষ্ট লোকেরা পুলিশ দেখলে ভয় পায়, কিন্তু আমরা এমন একটা সমাজে বাস করেছি যে ভালো লোকেরাই পুলিশকে দেখলে ভয় পায়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যে মানুষের বন্ধু-এটা প্রমাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। পুলিশ হয় এই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে, না হয় ওই দলকে দিয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশকে আর তাদের হয়ে ওঠা হয়নি।
পুলিশের মধ্যেও পরিবর্তনের একটা বিশাল তাড়া আছে উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, তারাও বুঝতে পারছে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে অনেক কাজ করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রণমুখী সরকার না। আরও কিছু দিন সময় দিতে হবে। কোনোভাবেই নির্দোষ কেউ যেনো হয়রানির মধ্যে না পড়ে সেটা দেখা হচ্ছে। আমরা জনমুখী পুলিশ গড়তে চাই।
এছাড়া বন্যার পূর্বাভাস পেলে ক্ষতি কম হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্যা হলেও আগে পূর্বাভাস পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হতো। প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি হওয়া যেত।
তিনি বলেন, বন্যায় এতো মৃত্যু কষ্টকর। যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলা হবে, কি কি সমস্যার কারণে বন্যার ক্ষতি বেড়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উজানে শুধু ভারত নয়, আরও দুটি দেশ রয়েছে। সবার সাথেই কথা বলা হবে। আন্তরিকতা থাকলে ৫৩ বছরে এমন পরিস্থিতি হতো না। আগাম তথ্য দেয়া, বৃষ্টির তথ্য দেয়া এগুলো খুবই সহজ। কিন্তু আন্তরিকতার অভাবে অনেক তথ্য পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, সরকার পরিবর্তন হলেও অগ্রাধিকারের পরিবর্তন হবে না।