রিপন কান্তি গুণ, বিশেষ প্রতিনিধি (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সেনা-পুলিশ ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে কালোবাজারির মাধ্যমে পাচারকালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ২৯ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অনৈতিক ভাবে চাল মজুদ রেখে অন্যত্র পাচারকালে আমিরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলা সদরের চান্দুয়াইল ব্রিজসংলগ্ন এলাকার পাকা রাস্তার পাশ থেকে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে চালসহ আমিরুল ইসলাম নামের চালের ডিলারকে আটক করা হয়। আমিরুল ইসলাম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচকাঠা বাজারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক (ডিলার) এবং উপজেলার সন্ধ্যাহলা গ্রামের মো. আব্দুল মোতালিবের ছেলে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন ডিলার আমিরুল ইসলাম ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
চাল মজুদ ও পাচারের ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে আমিরুল ইসলামকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘সরকারের ১৫ টাকা কেজি দরে কার্ডধারীদের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিতরণ করা চাল নিজে লাভবান হতে কালোবাজারির মাধ্যমে ক্রয় করে মজুদ করেন আমিরুল ইসলাম। মজুদ করে রাখা চাল পাচার করা হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের সদস্য, পুলিশ ও উপজেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চান্দুয়াইল এলাকায় অভিযান চালান। সেখানে রাস্তার পাশে ৫০ কেজি ওজনের ২৯ বস্তায় রাখা (এক হাজার ৪৫০ কেজি) চাল পাওয়া যায়। জব্দ চালের মূল্য আনুমানিক ২১ হাজার ৭৫০ টাকা। ওই চাল জব্দের পাশাপাশি পাচারকারি আমিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পর ওই মামলায় আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ দুপুরে তাঁকে নেত্রকোণা বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।