মেহেদী হাসান বাবু গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো;
কঞ্চিপাড়া ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এলিন বেগমের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে বেতন উত্তোলন করার সত্যতার অভিযোগ পাওয়া যায়। গাইবান্ধা জেলা দেশবাংলা প্রতিদিনের অনুসন্ধানী টিমের প্রধান মেহেদী হাসান ,গত মঙ্গলবার ৮-ই অক্টোবর অভিযোগের সূত্র ধরে মাঠে নামেন অনুসন্ধান চলাকালে দেখা যায় এলিন বেগম ১৩/৫/২০০৯ইং তারিখে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় থৈকরের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মজীবন শুরু করেন।
বদলি জনিত কারণে তিনি ২৯/৩/২০১৩ইং তারিখে সাঘাটা উপজেলার চিনির পটল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এলিন বেগম চিনির পটল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৯/১২/২০১৬ইং তারিখে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চি পাড়া ডিগ্রি মাহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। পরের দিন অথ্যৎ ১০/১২/২০১৬ইং তারিখে কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে পাঠদান শুরু করেন। এলিন বেগম ২০০৯ সালে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে নিয়মিত ভাবে সোনালী ব্যাংক সাঘাটা শাখা হইতে বেতন উত্তোলন করেন। পাশাপাশি কঞ্চি পাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২/৪/২০২০ইং তারিখে এমপিও ভুক্ত হন। যাহার ইনডেক্স নং 56792847।
এলিন বেগম কঞ্চি পাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে গত ১/৪/২০২০ইং তারিখে এমপিও ভুক্তি হবার পর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ হইতে ২০২০ এর এপ্রিলে ইস্তাফাদেন।এলিন বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ হইতে ইস্তাফা দিলেও কঞ্চিপাড়া ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় ২০১৯ সালের জুলাই হইতে ২০২০ এর এপ্রিলে পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক ফুলছড়ি শাখা হইতে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসাবে দুই লক্ষ আটাশ হাজার টাকা বেতন বাবদ উত্তোলন করেন।
এলিন বেগম একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠান হইতে বেতন উত্তোলন করে ফৌজদারী অপরাধ করেন এবিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলার আঃরহিম সহ স্থানীয় পাঁচ জন। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এলিন বেগমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়েল করেন।
অভিযোগ কারিরা বলেন এলিন বেগম দুই প্রতিষ্ঠান থেকে একই সঙ্গে বেতন বাবদ সরকারী টাকা উত্তোলন করে গুরুদণ্ড অপরাধ করেছেন। যাহা শাস্তি যোগ্য অপরাধ এবং বিভাগীয় মামলা করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহণের সুযোগ আছে বলে জানান।
অভিযুক্ত এলিন বেগমকে দুই প্রতিষ্ঠানের বেতন উত্তোলন বিষয় মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অধ্যাক্ষ আবু তাহের মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান স্যার সব জানেন। এলিন বেগমের স্বামী আসাদ জানান সরকারি টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করে থাকলে তা ফেরত প্রদান করা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায় ঐ কলেজে সবসময় অনিয়মের কথা উঠলেও প্রতিকারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। তারা অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অনুরোধ জানিয়েছেন।