প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৪, ২০২৫, ১১:৩৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ৯:৪৬ পি.এম
শরৎতেই শীতের আগাম বার্তা
এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন। ঠাকুরগাঁও:
চলছে শরৎকাল। বাংলা দিনপঞ্জিকা অনুযায়ী আশ্বিন মাস প্রায় শেষ। কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এখন থেকেই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা মিলছে ভোরের শিশির আর কুয়াশার। গরমের তীব্রতা কমে অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত।স্থানীয়রা বলছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এবার শীতও এসেছে অন্যবারের চেয়ে খানিকটা আগেই। ছোট বেলায় শীতের সকাল রচনার মতো দিগন্ত জোড়া মাঠের প্রান্তে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে নয়,ইট-কাঠ ঘেরা শহরে অলিগলিতে শীত নামে কর্মব্যস্ত মানুষের পদচারণায়।সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরতে থাকা কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথগুলো। গাছের পাতা, সবুজ ধানের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৮টা পর্যন্ত সড়কের যানবাহনগুলো চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।স্থানীয় আরিফ বলেন, মনে হচ্ছে এবার একটু আগেভাগেই শীতের দেখা মিলবে। মধ্যরাতে ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। এই আবহাওয়ায় সকালে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালো লাগে। প্রতিদিন সকালে অফিসে যাই। কয়েকদিন ধরে ভোরে বেশ ঠান্ডা লাগছে। মনে হচ্ছে, এবার শীত দ্রুত চলে এসেছে।ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৬ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শীতার্তদের মাঝে এবারও শীতবস্ত্র আগেভাগেই বিতরণ করা হবে।
--
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন