রংপুর প্রতিনিধি:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত দুই শিক্ষক ও সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে লেজুরবৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ, ছাত্র সংসদ চালু এবং শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১০৭তম সিন্ডিকেট সভায় আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ও আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সহ সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেরোবি কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত সময়ের মধ্যে মামলা করা হবে বলেও জানানো হয়।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক, একাডেমিক শৃঙ্খলা তত্ত¡াবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, আবাসিক হলের সিট বানিজ্য, হলে দখলদারিত্ব এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। এখনো যদি কারো সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয়ের আইনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে সকল শিক্ষার্থী ছাত্রত্ব শেষ করে চলে গেছেন; তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং যাদের ছাত্রত্ব আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যেনো হয়রানীর শিকার না হয় সেই ব্যাপারেও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। আশা করি, আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবো।