অনলাইন সংস্করণ :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভারতসহ সকল প্রতিবেশী দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন আমাদের আন্তর্জাতিক নীতি, সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে কোন দ্বন্দ্ব বা শত্রুতা নয় ।জামায়াতে ইসলামীর ভারতবিরোধিতা সর্বজন পরিচিত। এ বিষয়ে কী বলবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন এমন ধারণা ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নিশানা করে এই মতবাদ ছড়ানো হয়েছে যাতে জামায়াতের রাজনীতির মিথ্যা ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সমান মর্যাদা এবং সম্মানের ভিত্তিতে আমরা ভারতসহ সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার এবং জামায়াত একত্রে আওয়ামী লীগকে সরানোর পর এবার বিএনপিকেও সরিয়ে দিতে চায়। দুই বড় রাজনৈতিক দলকে বাইরে রেখে নতুন শক্তির উত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কতটা সত্য?জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই তত্ত্বের কোনো ভিত্তি নেই। আওয়ামী লীগের প্রতি জনতার সম্মিলিত ঘৃণা তৈরি হয়েছিল দুর্নীতি এবং ফ্যাসিবাদী নীতির কারণে। তারা নিজেরাই নিজেদের পতন এনেছে। কোনো সংগঠন বা দলকে সরানোর জন্য আমাদের কোনো ভূমিকা পালনের প্রয়োজন নেই।’
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অসামান্য সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া রয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে সমদৃষ্টিতে দেখা হয় এবং রাষ্ট্রের সব নাগরিককে সমান অধিকার এবং মর্যাদার ভিত্তিতে সম্মান করা হয়। জামায়াত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাসী নয়। আমরা মনে করি, ধর্মের ভিত্তিতে দেশবাসীর বিভাজন অপরাধ। হিন্দু বা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসার ইতিহাস জামায়াতে ইসলামীর নেই।