সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, পাকিস্তান দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা তৈরি করছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘উদীয়মান হুমকি’ হয়ে উঠছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মার্কিন কর্মকর্তার ওই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপরীত বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ বলেছেন, এই অভিযোগগুলো, ভিত্তিহীন, যৌক্তিকতা এবং ইতিহাসের অনুভূতি বর্জিত। মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা এবং সরবরাহের উপায় সম্পর্কে কথিত হুমকির ধারণা, মার্কিন কর্মকর্তার দ্বারা উত্থাপিত দুর্ভাগ্যজনক।
মুমতাজ জাহরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানকে প্রতিপক্ষ দেশগুলোর সঙ্গে অন্যায়ভাবে এক পাল্লায় ফেলা হচ্ছে। রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানকে তুলনার এই ইঙ্গিত যুক্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘ সহযোগিতামূলক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৫৪ সাল থেকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক এবং বহুমুখী সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে। সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযোগগুলো বিশেষ করে কোনও প্রমাণ ছাড়াই, এই সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই সমালোচনা ভারতের স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত ও এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে আরও অস্থিতিশীল করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে অভিযুক্ত ভূমিকার জন্য আখতার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাফিলিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল এবং রকসাইড এন্টারপ্রাইজ সহ ইসলামাবাদ-ভিত্তিক ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স এবং করাচির বেসরকারি সংস্থাগুলির উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের করে।