এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি দৌপ্রদী দেবী আগরওয়ালা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক, রুহিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথি সেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী লাবণ্য সরকার দিয়া, সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিপেন্দ্রনাথ ঝা ও সাবেক জেলা ক্রিড়া অফিসার মহিউদ্দীন সহ ২৯৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।বুধবার (১ জানুয়ারী) রাতে পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলাকার নারায়ন চন্দ্রের ছেলে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু (৫৪) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু কেন্দ্রীয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।মামলার এজাহারে ২৯৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০০ জনকে ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ২৯৪ জন সহ অজ্ঞাত নামা ৫০০ আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ধারালো ছুরি, শটগান, লোহার রড, চাপাতী, হকিষ্টিক, চাইনিজ কুড়াল, বাঁশের লাঠিসহ মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুসহ তার লোকজনের উপর হামলা করে এবং ককটেল বিস্ফোরন ঘটাতে ও ধাওয়া দিতে থাকে। আসামীদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের ছোড়া গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে গুরুতর আহত হন। আসামিদের তাণ্ডবে সেই সময় মামলার বাদী শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে দৌড়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।এসময় আসামিরাও বিএনপি অফিসের চারপাশে অবস্থান নেন। তারা ককটেল ককটেল বিস্ফোরণ করলে বিএনপিএ এই নেতা প্রাণ রক্ষার্থে পার্টি অফিসে প্রবেশ করলে আসামিরা প্লাস্টিকের বোতলের প্রেট্রোল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এতে অফিসে আলমারিতে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজ-পত্রসহ অফিস বিল্ডিং এর অবকাঠামে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে পার্টি অফিসের ৫টি ল্যাপ্টপ, ২টি টিভি, ১টি ফ্রিজ, একাধিক চেয়ার-টেবিল ও ৩টি এসি আঙার হয়ে যায়। আনুমানিক ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং সাক্ষীদের শারিরিক অবস্থা বেগতিক হলে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়ে বিলম্ব হয়েছে।এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু নামে ব্যাক্তি ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের আইনের আওয়াতায় আনা হবে।এ ব্যাপারে মামলার বাদী সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা পাওয়া যায়নি।