অনলাইন সংস্করণ:
এক বছরের ব্যবধানে রিউমর স্ক্যানার প্রায় ৫২ শতাংশ হারে ভুল তথ্য বৃদ্ধি পেতে দেখেছে। ৮ জানুয়ারি নিজেদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ করেছে, শুরুটা হয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে। এরপর সময়ের সাথে নানা ইস্যু প্রকাশ পেতে থাকে। তথ্যের সঙ্গে বাড়ছিল ভুল তথ্যের সংখ্যা। এরপর এলো ঐতিহাসিক দুই মাস জুলাই-আগস্ট। কোটা আন্দোলনের পথ ধরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসন আমল পতন হওয়ার পর দেশের দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। যার নেতৃত্বদীন রয়েছেন ডক্টর ইউনুস। ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক সাম্প্রদায়িক প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায়। এভাবেই শেষ হয় ২০২৪ সাল।রিউমর স্ক্যানার গেল বছর এমন সব ঘটনায় ভুল আর অপতথ্যের প্রবাহ নিয়ে নিরলস কাজ করেছে, শনাক্ত করেছে রেকর্ড ২৯১৯টি ভুল তথ্য। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে শনাক্ত হয়েছিল ১৯১৫টি ভুল তথ্য। এক বছরের ব্যবধানে রিউমর স্ক্যানার প্রায় ৫২ শতাংশ হারে ভুল তথ্য বৃদ্ধি পেতে দেখেছে।ভুয়া তথ্য সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক ও এক্সে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্লাটফর্ম ফেসবুক। মেটার অধীনে থাকা এই মাধ্যমটিতে ২০২৪ সালে ২৩৩০টি ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে৷ এই হিসেবে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ছয়টির বেশি ভুল তথ্য প্রচারিত হয়েছে প্লাটফর্মটিতে।সবচেরে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে ইউটিউবে ৫৬৫ টি। এবং টিকটকে ছড়িয়েছে ৫০৯ টি,
রিউমর স্ক্যানার এই প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া এমন ২০১টি অপতথ্য শনাক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর বাইরে অন্যান্য প্লাটফর্মগুলো বাংলাদেশে তুলনামূলক কম জনপ্রিয় হওয়ায় সেগুলোতে ভুল তথ্য প্রচারের হারও বেশ কম লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছাড়াও গণমাধ্যমও ভুল তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। গেলো বছর দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত প্রতিবেদনে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ১৫১টি৷প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে রিউমর স্ক্যানারে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে পুরোপুরি মিথ্যা বা ভুয়া ঘটনা সম্বলিত ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে ২০২৮টি। এছাড়া, বিভ্রান্তিকর রেটিং দেয়া হয়েছে ৫৩৩টি। বিকৃত রেটিং পেয়েছে ৩০৮টি, অধিকাংশই মিথ্যা এমন রেটিং পেয়েছে তিনটি।