প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৮, ২০২৫, ৩:০২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১৬, ২০২৫, ১০:২১ পি.এম
মাগুরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

কাসেম আহমেদ মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী দেশবাসীর সেবা করা সুযোগ পেলে এ দেশে চাঁদাবাজি ও দখলদারের অস্তিত্ব থাকবে না। ঘুষ থাকবে না। আমরা ফ্যাসিবাদ, সাম্রাজ্যবাদের প্রশ্রয় দেবে না-চাঁদাবাজি করবো না করতেও দেবো না। দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামের ছায়াতলে আসুন।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মাগুরা জেলা শহরের নোমানী ময়দানে জেলা জামায়াতের বিশাল কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা কর্মী ওমাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের লক্ষাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ডা.শফিকুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজ ও দুঃশাসনমুক্ত, বৈষম্যহীন দেশ গড়তে জনগণ জামায়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। ক্ষমতা নয়, সুশাসনের জন্য দেশবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থন চাই। আমরা ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ সময় তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা যাদের চোর, ডাকাত হিসেবে চিনি, তাদের সক্ষমতা কতটুকু? কিন্তু কলমের খোঁচায় যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ডাকাতি করেছে, তারা বড় চোর-ডাকাত। আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা ডাকাতি করে ব্যাংকগুলোকে ফোকলা করে দিয়েছে। আর আমরা এতদিনে বিভিন্ন জেলায় ও মাঠে একটি কর্মী সমাবেশের চিন্তা করি নাই। কেন করি নাই। কারণ এদেশে এমন একটি সরকার গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছিলো, যারা মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছিলেন। মানুষ কষ্ট পেলে চিৎকার করে কাদঁতে পারতো না। মানুষের ভালো লাগলে হাসতেও পারতো না। মানুষের মুখে অদেখা একটা তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। কেউ যখন সরকারের ভালো কাজে প্রশংসা করতো, সরকার কলুষিত হত, আবার কেউ যখন সরকারের মন্দ কাজের সমালোচনা করত তাকে গুম খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরে রাখত। এরকম একটা ভয়ের সংস্কৃতি বিগত সরকার এদেশে কায়েম করেছিল। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা করছে। তাই আমরা চাই অর্থনীতি আরও গতিশীল হোক। বাজারে এখনো সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল হোক। আমার চাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আরও উদ্যোগী হবে। পরে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একদল চাঁদাবাজি করে চলে গেছে। আরেক দল আসুক, আমরা চাই না। দেশে কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? হাতবদল হয়েছে। এ জন্য তো এত মানুষ শহীদ হননি। আমরা যেন কেউ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি না করি। এসব ঘৃণিত কাজ করলে শহিদদের সঙ্গে বেইমানি হবে। তাই আপনারা এ সকল ঘৃণিত কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকবেন। দেশের সব মানুষের সমান অধিকার উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই। সবাই সাংবিধানিকভাবে সমান। ধর্ম-বর্ণ মিলেমিশে আমরা বসবাস করি। কেউ যদি আপনাদের সংখ্যালঘু বলে, চিৎকার করে বলবেন, আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক, আমাদের সকলের সমান অধিকার।
মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক এমবি বাকেরের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাগুরা জেলা জামায়াতের সহ-সভাপতি মাহবুুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাহিদ আহমেদ বাচ্চু প্রমুখ।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন