ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস আজ (২৪ জানুয়ারি)। জাতির মুক্তিসনদ খ্যাত ৬ দফা ও পরবর্তী সময়ে ছাত্রসমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণ-অভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের এদিনে পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। ইতিহাসে এটি ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান নামে পরিচিত।
দিবসটি পালন উপলক্ষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আমি ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
১৯৬৯ সালের ১৭ জানুয়ারি ছাত্রনেতারা দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খান ছাত্র আন্দোলন দমাতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। সরকারি নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ) নিহত হলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়।
শহিদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। ২৪ জানুয়ারি পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে ঢাকায় সচিবালয়ের সামনে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান ও রুস্তম নিহত হন।
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। সেই থেকে ২৪ জানুয়ারি ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।