নিজস্ব প্রতিবেদক এ.এম.সারোয়ার জাহান
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের রাজার বাজার খোয়াই নদীর উপর নির্মিত ঝুকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে ভারী বালুবাহী ট্রাক বন্ধের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় জনতা।গত মঙ্গলবার ১ এপ্রিল রাজার বাজার খোয়াই নদীর উপর নির্মিত ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন স্থানীয় জনতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এতে করে সড়কে প্রচুর যানবাহন যানবাহন আটকটা পড়ে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পরে ।মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।শাম্মী আক্তার মিছিল শেষে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তৃতায় বলেন,চুনারুঘাটে অবৈধ বালু ও ব্রিজে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ না করলে ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে। খুনি হাসিনার সহযোগীরা মিলে বালু মহালের নামে অবৈধভাবে বালু তুলতে তুলতে সেই ব্রিজটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যাচ্ছে, যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান যখন দায়িত্ব পেয়েছেন হবিগঞ্জের জনগণ আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম, তিনি অবৈধ বালু উত্তোলন করা বন্ধ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।
কিন্তু তারা দেখি পূনরায় টেন্ডার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি রিজওয়ানা হাসানকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনি লালগালিচায় পাড়া দিয়ে ব্রিজ খনন করতে যান। আর এদিকে চুনারুঘাটে অবৈধভাবে বালু খনন করে নিয়ে যাচ্ছে। ব্রিজ ভেঙে যাচ্ছে আপনি সেই দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না।অবিলম্বে এই চুনারুঘাটে যতগুলো অবৈধ বালু মহাল আছে সব গুলো বন্ধ করার জন্য যত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিন। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়।জনগণ রাস্তায় নেমে তার জবাব দিবে।আলীনগর ঐক্য যুব সংঘের সভাপতি রাজন মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন বাবরু, শিক্ষক সুষেন ভট্টাচার্য,আরো অনেক স্থানীয় ও গণ্যমান্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
আলীনগর ঐক্য ও যুব সংঘের সভাপতি রাজন মিয়া দেশবাংলা প্রতিদিনকে জানান, চুনারুঘাটের রাজার বাজার টু বাসুল্লা রোডে খোয়াই নদীর উপর নির্মিত ঝুকিপূর্ণ ব্রীজের উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারী ওজনের বালুর গাড়ী চলাচল করছে। ফলে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।কর্তৃপক্ষ ৩ টনের বেশি ভারী ওজনের গাড়ী চলাচলে নিষেধ ও ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্রিজের মুখে সাইনবোর্ড লাগানোর পরও চলে ভারী যানবাহন চলাচল করে । বিধি-নিষেধ অমান্য করে সেতুর ওপর দিয়ে চলছে বালু বোঝাই অবৈধ ডাম্পার সহ বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন।এমনকি ব্রীজের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা বাড়ায় ও ব্রীজের পশ্চিমদিকে মাটি সরে বিচ্যুতি হয়েগেছে। এতে করে সেতুটি যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন রাজন মিয়া সহ স্থানীয় জনগণ ।এই সেতুটি চলাচলে পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেলে আলিনগর, বাসুল্লাহ সহ পূর্বাঞ্চলের অর্ধক্ষাধিক মানুষ চলাচলে সমস্যায় পড়ে যাবে। যে কারনে স্থানীয়রা সেতু রক্ষায় বালুবাহী ট্রাক বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এবং ব্রিজের ভাঙ্গা অংশটুকু সংস্কারের দাবি জানান।রাজন মিয়া আরো জানান
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবে,রাজন মিয়া আরো বলেন
আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করবো
এর ভিতর যদি একটু যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, আমরা আবার সকল জনতা নিয়ে রাস্তায় এবং এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরব না।