মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ২০১৮ সালে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত গায়েবি মামলার স্বাক্ষী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়েরকৃত হত্যা মামলার আসামি প্রকাশ্যে ঘুরছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি জামাতের লোকজনকে এলাকা ছাড়া করার জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে মাধবপুর থানায় বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন ২০১৮ এর ৩/এ এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ ডি ধারায় একটি গায়েবি মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলায় ৭ নম্বর স্বাক্ষী ছিলেন জগদীশপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি উপজেলার খরকি গ্রামের সামছুল ইসলাম এর পুত্র ফজলুল হক। বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে সে হয়রানি করে। এমনকি সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সে দলীয় নির্দেশে ঢাকায় গিয়ে ছাত্রজনতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। জাহাঙ্গীর আলম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়ায় গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৫ জানুয়ারী ২০২৫ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের গ্যাজেট অধিশাখার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৮৩৪ জন শহীদের মধ্যে ৮৩১ নম্বর শহীদ। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় শহীদ জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। উক্ত মামলায় ফজলুল হক ২৮৬ নাম্বার আসামি। বিগত সরকারের আমলে শ্রমিকলীগ নেতা পরিচয়ে এলাকার বিএনপি জামাতের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে রহস্যজনক কারণে সে এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হারুনর রশীদ বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে আমি সহ এলাকার কোন বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে থাকতে দেয়নি। মামলা হামলা করে হয়রানি করছে। হত্যা মামলার আসামি হয়েও এখন সে কিভাবে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে আমরা তা বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এর যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।