ধর্মপাশা( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারে তিন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের সমন্নেয়ে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। বাদশাগঞ্জ সরকারী পাবলিক হাই স্কুলের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ১৫ মে ২০২৫ ইং তারিখে গার্হস্থ্য বিঞ্জান ব্যাবহারী পরীক্ষা শেষে বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা হতে অপহরণকারী আদন এবং মুক্তিপণকারী মিলনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এতে বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, বাদশাগঞ্জ সরকারী পাবলিক হাই স্কুল ও বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মো: আব্দুল হাই, বাদশাগঞ্জ পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, বাদশাগঞ্জ সরকারী পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা, সেলবরষ ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের সোনা মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, ভুক্তভোগীর পিতা নুরে আলম প্রমূখ।বক্তারা বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত মেয়েকে উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি। দ্রুত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হোক, এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান, সেলবরষ ইউনিয়নের বীর উত্তর গ্রামের বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করা জন্য প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানান।অপহরিত মেয়ের বাবা নূরে আলম বলেন, আমার মেয়েকে ছাড়ানোর জন্য দুই লক্ষ টাকা মুক্তি পন দাবি করেছে। আমি গরিব মানুষ আমি টাকা কিভাবে দিব, আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই আমার মেয়েকে উদ্ধার করে দিতে এবং অপহরনকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
অপহরন কারীর বাবা মোঃ মিলন মিয়া বলেন, আমার ছেলের সাথে এই মেয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক আছে। তারা দুইজন দুইজনকে ভালোবাসে, আমি কোন মুক্তি পন দাবি করিনি। আমি মেয়ের বাবাকে ফোন করে বলেছি বিষয়টি যে ভাবে তুমি খুশি হও সেই ভাবে আমি শেষ করতে রাজি আছি। ঝামেলাটা মিমাংসা করে ফেলি।