কাইয়ূম বাদশা মধ্যনগর প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী ১নং উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে মাদক কারবার ও ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাব বিস্তারকারী একটি চক্র নিজেদের ‘উপর মহলের ঘনিষ্ঠ’ পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় প্রতিদিন গোপন রুটে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইনসহ মাদকদ্রব্য এবং ভারতীয় কাপড়, কসমেটিকস, খাদ্যপণ্য প্রবেশ করছে—সবই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে।
এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ। বিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেক কিশোর-তরুণ মাদকের ছোবলে পড়ছে। এতে শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, পরিবার ও সমাজেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এখনই যদি প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে একটি প্রজন্ম অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। তারা সীমান্তে নিয়মিত টহল, মাদকবিরোধী অভিযান এবং মাদকের পেছনের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সজিব রহমান দেশবাংলাপ্রতিদিনকে বলেন, মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা সবসময় এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। সীমান্তবর্তী এলাকায় যাতায়াতের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকমত না থাকার কারণে মাঝে মাঝে কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলার ইউএনও উজ্জ্বল রায় বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা সোচ্চার। সীমান্তে চোরাচালান, মাদক ইত্যাদি রোধে সতর্ক থাকার জন্য বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারগণকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও মাদক নির্মূলে এগিয়ে আসতে হবে। উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে মাদক নির্মূল কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন
সুনামগঞ্জ জেলার এই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের তৎপরতা ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা জরুরি, অন্যথায় ভবিষ্যতে সমাজ ও যুবসমাজের উপর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।