প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৪, ২০২৫, ১:০৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৬, ২০২৫, ৮:৫১ পি.এম
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রায়পুর এর হাজার পরিবার

রিয়াদ হাওলাদার, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর):লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে গত এক সপ্তাহ যাবৎ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের
কবলে পড়েও প্রচন্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন এই উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত একটি উপজেলা এ উপজেলায় প্রায় পাঁচ লাখ লোকের বসবাস।বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার।দিনে ১০-১৫ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায়
বিপাকে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করেজনজীবন গত তিন দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পৌর শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ আশপাশের এলাকায় ব্যাপকলোডশেডিং হচ্ছে।বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থায় ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকে।শহরের বাহিরে ইউনিয়নগুলোতে দিনে-রাতে ১থেকে ১২ ঘণ্টার লোডশেডিংয়ে ভুগছে ৫ লাখ মানুষ।শহরের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,সামনে কোরবানির ঈদ শেষের দিকে এসে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ঈদ মার্কেটেও প্রভাব পড়েছে।সাধারণত সন্ধার পর থেকে শপিংমল, মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা চলে হরদম।এরমধ্যেই বিদ্যুতের আসা-যাওয়া চলছে।এতে আইপিএস ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জফুল
করতে যথাযথ সময় পাচ্ছে না।জেনারেটর চালাতে সময় নিচ্ছে মোটামুটি।বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার খেলার মধ্যকার
সময়ে দোকানি-ক্রেতা উভয়েই অতিষ্ঠ প্রচন্ড তাপদাহে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সর্বস্তরের জনগণসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা আরক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন অনেকেই।রায়পুরে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে দলমত নির্বিশেষে সবার মধ্যে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। অনেকের ধারণা সরকারের বদনামের উদ্দেশ্যে ডিজিএম পরিকল্পিত লোডশেডিং করাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস
দিয়েছেন।শহরের অপসেট প্রেসের মালিকরা বলেন,বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসা ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে ব্যবসা করতে চরম কষ্ট হচ্ছে।সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা কে সামনে রেখে চরম হতাশ হয়ে পড়েছি।শহরে এত বেশি লোডশেডিং হচ্ছে যা বলার
ভাষা নেই।গতকাল ৭-৮ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিল না।কম্পিউটারে বসছি আর উঠছি।প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং।এখনই এই অবস্থা, সামনে কি যে হয়?’ আমরা না হয় মানিয়ে নিলাম।কিন্তু বাচ্চাগুলোর অবস্থা খারাপ।তারা গরমে ছটপট করছে।’রায়পুর পৌরসভা পানি সরবরাহ শাখা সূত্রে
জানা গেছে, অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে পৌরসভার ট্যাংকে পানি তোলা যাচ্ছে না।ফলে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহকরা যাচ্ছে না।এতে পৌরসভার ৫০ হাজার মানুষ পানির কষ্টে ভুগছেন।রায়পুর পলী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহাদাত হোসেন বলেন, রায়পুরে১ লাখ ৮ হাজার গ্রাহক রয়েছে।চাহিদার তুলনায় অর্ধেকের চেয়েও কম বিদ্যুৎ সরবরাহ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।তাই কখন তিনি ৪ থেকে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।এছাড়াও আমরা সর্বাক্তক চেষ্টা করি লোডশেডিং না করার জন্য।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন