প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৮, ২০২৫, ১০:২০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৩০, ২০২৫, ৯:৪৮ পি.এম
টানা বৃষ্টিতে রায়পুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হুমকিতে স্হানীয় জনবসতি

রিয়াদ হাওলাদার, রায়পুর( লক্ষ্মীপুর):
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রায়পুরে টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তৃতীয় দিনের মত উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় গত তিনদিন থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও বজ্রাঘাত হচ্ছে। লঘুচাপটি নিম্নচাপ হয়ে যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। স্থানীয়দের তথ্যমতে, মেঘনার উপকূলীয় রায়পুরের তিনটি ইউনিয়নে মূল ভূখণ্ডের বাইরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫টি নতুন চর জেগেছে। জেগে ওঠা এসব চরে মানুষ বসবাস শুরু করেছেন। প্রায় ২০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।কানিবগারচর, টুনুর চর, চরবংশী, মিয়ারহাট, চরকাছিয়া, চরজালিয়া, চরইন্দ্ররিয়াসহ কয়েকটি চরে ধান চাষের পাশাপাশি রয়েছে গরু ও মহিষের পাল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরগুলো কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেলে নৌকা ও গাছে অবস্থান নিয়ে মানুষ রক্ষা পেলেও প্রাণহানি হয় পশুগুলোর। জোয়ারে অনেক গবাদিপশু ভেসে যায়। জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় একাধিকবার ধান চাষ করলেও ফলন মিলে একবার। নতুন জেগে ওঠা এসব চরের একটিতেও নেই কোনো বেড়িবাঁধ। দুর্যোগের নাম শুনলেই আতঙ্কে থাকেন চরের মানুষ।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরসহ উপকূলীয় ৪টি উপজেলায় প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ রয়েছে; যার মধ্যে প্রায় ৩১ কিলোমিটার বাঁধই ঝুঁকিপূর্ণ।রায়পুরে ২০ কিলোমিটার বাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সময়মতো মেরামতের উদ্যোগ নিলে কম খরচ ও কম সময়ের মধ্যে মানসম্মত কাজ করা সম্ভব। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান জানান, উপকূলীয় এলাকার বিশেষ করে রায়পুর, কমলনগর, রামগতি উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছে। আরও কয়েকটি এলাকা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। অবশিষ্ট অংশগুলো ও দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন