ঈদের ছুটি শেষে আবারও চেনা রূপে ফিরেছে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়া। দীর্ঘ ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে গত দুই দিন ধরে সাভারে ফিরেছে কর্মমুখী মানুষ। আর ফিরেই যুক্ত হয়েছে কর্মযজ্ঞে, তারা পুরোদমে শুরু করেছে উৎপাদন।সাভার ও আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক, বাইপাইল ও জামগড়ার বিভিন্ন এলাকায় কর্মজীবীদের স্রোত দেখা গেছে। তারা কাজে যোগ দিতে একের পর এক কারখানায় প্রবেশ করছেন। বিভিন্ন পোশাক কারখানাগুলোর ফটকে দেখা মিলেছে শ্রমিকদের লম্বা সারি। এ যেন চিরচেনা সাভারের চিত্র।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিল্পাঞ্চল সাভার এবং আশুলিয়া প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। এসব শিল্প কলকারখানায় প্রায় ৯৮ ভাগ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন। ফলে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে এখনও কর্মস্থলে ফিরছেন কিছুসংখ্যক শ্রমিক। অনেকেই যানজটে আটকে সঠিক সময়ে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেন নাই। বাধ্য হয়েই বাসের ছাদে যাত্রা করেছেন অনেকেই।আশুলিয়ার একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর বলেন, ‘গ্রামে ছুটি ভালোই কেটেছে। ছুটিও ছিল বেশ দীর্ঘ। তাই হাতে দুই দিন সময় নিয়েই কর্মস্থলে ফিরেছি। যদিও যানজটে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে। তার পরেও সঠিক সময়ে কাজে যোগ দিতে পেরেছি। গ্রামের ফেরার সময় যেমন পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছিল, ফেরার পথেও একই ভোগান্তির শিকার হয়েছি আমরা। অনেকে বাসের ভিতরে দাঁড়িয়ে, কেউ বাসের ছাদে ১০/১৫ ঘন্টা সময় কাটিয়েছেন। অবশেষে ফিরে তারা কাজে যোগ দিতে পেরেছেন। অন্যান শ্রমিকরা বলেন, আমরা অনেক কষ্টে আজ ভোরে আশুলিয়া ফিরেছি। সড়কে দীর্ঘ যানজট, পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ সব মিলিয়ে ভাল ভোগান্তিতে ফিরতে হয়েছে। অনেকেই এখনও যানজটে আটকে বলে জেনেছি। কারখানায় ৯০ ভাগেরও বেশি শ্রমিক যোগ দিয়েছেন। যারা এখনও যোগ দিতে পারেন নাই তারা যানজটে আটকে রয়েছে। তারাও কর্মস্থলে যোগ দিবেন। সবাই আনন্দমুখর পরিবেশে উৎপাদন শুরু করেছেন। আমরা ছুটির পর পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে।যানজটে আটকে পড়া শ্রমিক আল-আমিন বলেন, গতকাল রাতে আমি রওনা করেছি। সড়কে যানজটে আটকে আজও কর্মস্থলে ফেরা হয় নি। এখনও বাসের ছাদে কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টা করছি। আশা করি ১১ টার মধ্যে কারখানায় উপস্থিত হতে পারবো। আজ একটু দেরিতে কারখানায় গেলে সমস্যা হবে না। আমি তো ইচ্ছে করে দেরি করছি না। তবে কারখানায় দ্রুত ফিরে উৎপাদন শুরু করতে চাই।এব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আজ থেকে শতভাগ কারকানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই রয়েছে৷ এছাড়া শিল্পাঞ্চল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। শিল্পাঞ্চলে আমাদের শক্ত নজরদারি রয়েছে।