কাইয়ুম বাদশাহ উপজেলা প্রতিনিধি মধ্যনগর সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে তৃনমূল বিএনপির সমর্থনে সদস্য পদে ফরম সংগ্রহ করে আলোচনায় সর্বকনিষ্ঠ নেতা এ,এম স্বপন জাহান।আজ বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে মধ্যনগর উপজেলা সাইবার দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা তরুন প্রজন্ম দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুন এই নেতা তার নিজ ওয়ার্ড বিএনপির ঘাটি খ্যাত ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীদের সমর্থনে অর্ধশতাধিক স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সদস্য প্রার্থী হিসেবে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য ও ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মো: কামাল হোসেনের কাছ থেকে সদস্য ফরম সংগ্রহ করেন।এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাহিদ তালুকদার,যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জিয়া,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান উদ্দিন,শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল জলিল সহ উপজেলা বিএনপি ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দ।মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রার্থী এ,এম স্বপন জাহান বলেন,আমার নিজ এলাকার স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে তাদের সর্বসম্মতিক্রমে আমি প্রার্থীতা ঘোষণা করেছি এমনকি অর্ধশতাধিক স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে সদস্য ফরম সংগ্রহ করেছি।তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের ও বিএনপি দলের নির্দেশনা ফলো করে যদি কমিটি গুলো গঠন করা হয়।তাহলে অবশ্যই আমি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাবো।যোগ্যতা ও ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হলে অবশ্যই আমি কমিটিতে স্থান পাবো।কারন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হওয়া ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সেই ১১ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে অদ্যবদি পর্যন্ত এই দলটিকে ভালবেসে টিকে আছি।বিগত বিএনপির দুর্দিনে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন হুমকির মুখে রেখে এই দলটিকে আগলিয়ে রেখে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে দলের হাল ধরে রেখেছি।ভোট বর্জনের মত রিস্কি কর্মসূচি গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি।বিএনপির দুর্দিনে যখন মাঠে টিকে থাকার লোক ছিলনা তখনো কেন্দ্র জেলা ও উপজেলার নির্দেশনা মেনে প্রত্যেকটা প্রোগ্রামে জনবল নিয়ে উপস্থিত থেকে প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি।সাবেক এমপি জননেতা মরহুম নজীর হোসেন সাহেবের ১৮ সালের নির্বাচনী পরিচালনা প্রস্তুতি মিটিং শেষে বাড়ি ফেরা পথে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের দ্বারা ব্যপক হামলার স্বীকার হয়েছি।বেশ কয়েকবার গৃহবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন পর্যন্ত করেছি।ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং এ ফাস্ট ডিভিশন পাওয়া ছেলেটা শুধু রাজনীতির ও এই দল করার কারনে ফ্যাসিস্ট আমলে বিভিন্ন মিথ্যা কলংকের তকমা পেয়েছি।ফ্যাসিস্ট আমলে কলম সৈনিক হিসেবেও দলের জন্য কাজ করেছি।পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই মেধা,শ্রম, ঘাম,ত্যাগী নির্যাতীতদের দিয়ে যদি আসন্ন এই কমটি গঠন করা হয়।অবশ্যই আমি বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাবো ইনশাআল্লাহ।