প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৮, ২০২৫, ১:২৬ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৩০, ২০২৫, ৯:৫৪ পি.এম
রায়পুরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার বেহালদশা, জনভোগান্তি

রিয়াদ হাওলাদার, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
রায়পুর উপজেলা লক্ষ্মীপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। এই উপজেলার আয়তন প্রায় ১৯৫.৯৮ বর্গ কিলোমিটার। প্রশাসনিক, দাপ্তরিক এবং ব্যাক্তিগত বাজার ও ক্রয় বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন প্রায় শত শত গাড়ি এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। রাস্তাটি রায়পুর নতুন বাজার থেকে হায়দারগঞ্জের দিকে চলে গিয়েছে। রায়পুর উপজেলার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।স্থানীয় বাসিন্দা জনাব মাহবুবুর রহমান রনি বলেন সরকার বার বার রস্তাটি সংস্কার ও পুনরায় করে দিলেও রাস্তাটি টেকসই হয় না।কারন হিসাবে তিনি বললেন সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারনে এমনটি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে অনেক পানি জমে যায় এবং গাড়ি চলাচলের কারনে রাস্তায় ছোট বড় অনেক গর্ত হয়। কয়েকদিন আগেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শিশু গর্তে পড়ে আহত হয়, পরে তাকে পাশের একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।রায়পুর পৌরসভায় গত ৩০ বছরেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়নি। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। একাধিকবার ডুবে যায় সড়কগুলো। কিন্তু পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই দৃশ্যমান হয় সড়কের ক্ষতবিক্ষত চেহারা। ফেটে চৌচির হয়ে যায়।নষ্ট হয়ে যায় বিটুমিন। সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। প্রকাশ পায় সড়কের এক ভয়াবহ বেহাল চিত্র। এমন সড়ক দিয়ে কেবল ছোট যানবাহন নয়, বড় গাড়িকেও চলতে হয় হেলিয়ে দুলিয়ে।
ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। হয় প্রাণহানি। রায়পুর পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়কগুলো মেরামত করে থাকে। গত বর্ষা মৌসুমে শহরের ৪০ কিলোমিটারের প্রায় ২০টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৈরি হয় ছোট-বড় গর্ত।অভিযোগ আছে, পৌরসভার সড়কগুলো নির্মাণ-সংস্কার কাজ টেকসই না হয় না, ঠিক থাকে না কাজের মান, ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের উপকরণ। ফলে প্রতি বছর বর্ষায় বৃষ্টি হলেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এ কারণে পৌরসভার বড় অংকের টাকা অপচয় হয়।শহরে চলাচলকারি অটোচালক ইব্রাহিম বলেন, গত ১০ বছর পৌরসভার সড়কগুলো বেহাল দশা। শুক্রবার সকালে নতুনবাজার-খাজুরতলা নামক স্থানে অটো উল্টে পড়ে মারাত্নক আহত হয়েছে শিশুসহ মহিলা যাত্রী।পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, বর্ষায় প্রতিবছরই রায়পুর পৌরসভার সড়কগুলো জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়। তাছাড়া, পানিতে ডুবলে বিটুমিন দ্রুত উঠে যায়। তাই সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তবে পৌরসভা নিয়মিতই তদারকির মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করে থাকে। কাজের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না। এখন সংস্কার কাজ চলছে। আশা করি, কাজ শেষ হলে সড়কগুলো আগের মতো হয়ে যাবে।
রায়পুর পৌরসভার প্রশাসক (অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক) পদ্ম সেন সিংহ মোবাইলফোনে বলেন, বন্যা ও টানা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো টেম্পোরালি না করে স্থায়ীভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী সহযোগীতায় প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ শুরু করবো।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন