আকিকুর রহমান রুমন:-
হবিগঞ্জ শহরে বানিয়াচংয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী চাঞ্চল্যকর জনি দাস হত্যার ঘটনার ৩দিন পর এই প্রথম সাজু মিয়া নামের একজনকে আটক করলো পুলিশ।শহরের ডাকঘর সংলগ্ন দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকার ভাড়াটিয়া জনি দাস(১৬)নামের এক স্কুল ছাত্রকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিলো।নিহত জনি দাস হবিগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো।এই হত্যার ঘটনায় সাজু মিয়া(৩০)নামে এক যুবককে ভোরে আটক করে সদর থানা পুলিশ।আটককৃত যুবক সাজু মিয়া(৩০)আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত খুশবান মিয়ার ছেলে।
৭জুলাই(সোমবার)ভোরে শহরের আনোয়ারপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।এবিষয়ে সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন,জনি দাস হত্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসি ফুটেজ ও আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম সাজু মিয়া এই ঘটনার সাথে জড়িত।তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনি দাসকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছে।বর্তমানেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল বলে জানান তিনি।উল্লেখ্য গত৩জুলাই(বৃহস্পতিবার)ভোর রাতে চুরির উদ্দেশ্যে জনিদের ভাড়াটিয়া বাসায় প্রবেশ করে এক বা একাধিক ব্যক্তি।এসময় দরজা খুলে চোরকে ঝাপটে ধরে ফেলে জনি দাস এবং চিৎকার শুরু করলে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে এবং তার ভাইকেও আঘাত করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ভাইকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনি দাস(১৬)কে মৃত ঘোষণা করেন।এই ঘটনায় আহত হন বড় ভাই বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জীবন দাশ জয়(২০)।নিহত জনি দাশের বাড়ি বানিয়াচং উপজেলার ১৫নং পৈলারকান্দী ইউনিয়নের বাঘতলা গ্রামে।তার বাবা নর্ধন দাশ শহরের চৌধুরী বাজারের ক্ষুদ্র একজন ব্যবসায়ী।তারা শহরের একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলেন।
জনি দাস হত্যার ঘটনার পর থেকে শহরে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করে আসছেন তার সহপাঠীসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শহরে বসবাসকারী বিভিন্ন এলাকার লোকজন।এই ঘটনায় জনি দাসের বড় ভাই জীবন দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭-৮জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এরই প্রক্ষিতে জনি দাস হত্যার ৩দিন পর আজ সোমবার ভোরে প্রথম সাজু মিয়া নামের একজনকে আটক করেন পুলিশ।