প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৪, ২০২৫, ১২:৪০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১৬, ২০২৫, ৯:১২ পি.এম
দেশের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত ছিলাম
মাসুদ রানা, ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ
ধামইরহাট উপজেলার লক্ষন পাড়া গ্রামের মোঃ খাদেমুল ইসলামের ছেলে মোঃ মূবিনুর রহমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি লক্ষন পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নজিপুর সরকারি কলেজ থেকে এইছচএসসি পাশ করে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। জুলাই বিপ্লবের সময় উত্তরায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে যোগ দেন এবং সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।১৮ জুলাই ২০২৪ ইং আন্দোলন আরো জোরদার হলে পুলিশের গুলিতে আহত হোন মূবিনুর রহমান।তার পাশে থাকা বন্ধুরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে ইবনে সিনা কলেজ এন্ড হাসপাতাল এবং পর্যায়ক্রমে CMH হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।মূবিনুর রহমান বলেন,সরকারিভাবে আমাকে 'সি' ক্যাটাগরিতে জুলাই যোদ্ধা স্বাস্থ্য কার্ড দেয়া হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের যারা সরাসরি এবং গোপনে হামলা ও প্রসাশন কে প্রভাবিত করে সাধারণ ছাত্রজনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের যত দূত সম্ভব বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্তা করতে হবে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন সকল আহত ও শহীদের পরিবারের এবং আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যত-দূরত্ব সম্ভব জুলাই সনদ ঘোষণা করা হোক।আমি কৃতজ্ঞ আমার চাচা ইন্জিনিয়ার কে এম এস মুসাবি্বর শাফি এবং বন্ধু সাবিত এর প্রতি, কারণ আমি যখন পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হই তখন আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি তখন তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং কয়েক দিন ধরে দিন রাত আমার পাশে থেকে যত্ন নিয়েছেন,সাহস যুগিয়েছেন।
পিতা : মো: খাদেমুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে অল্প বয়সে এরকম দেশ প্রেম এবং ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে এজন্য আমি গর্বিত। তবে সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া হলো তারা যেন মূবিনুর সহ সকল জুলাই আহতদের প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্তা করেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন