আকিকুর রহমান রুমন:
হবিগঞ্জের নিখোঁজ এক ব্যক্তির ৫দিন পর ৬দিনের মাথায় বানিয়াচংয়ের হাওর থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ।
সূত্রে জানাযায়,বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের সুনারু গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওর থেকে ভাসমান একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন তারা।এদিকে এই মরদেহ উদ্ধার করা ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেন উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির পরিবারের লোকজন।তারা এই লাশটি তাদের নিশ্চিত করেন থানা পুলিশ জানান,হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের উমেদনগর মধ্যহাটির গ্রামের নুরুল হোসেনের পুত্র ৫দিন পূর্বে নিখোঁজ হওয়া মোঃ রঙিলা মিয়া(৫৫)এর লাশ এটি।এদিকে উদ্ধার হওয়া নিহত রঙ্গিলা মিয়া সম্পর্কে স্হানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,তিনি ৫ দিন পূর্বে বাড়ি থেকে রাতের কোন এক সময় নিখোঁজ হন।পরিবারের লোকজন আজ ৬ দিন ধরে খুঁজ করে যাচ্ছিলেন।কিন্তু আজ ৫দিন পর ৬দিনের মাথায় বানিয়াচং থানা পুলিশ একটি লাশ উদ্ধার করেছেন এমন খবর জানতে পেরে তারা এই লাশটি নিখোঁজ হওয়া রঙ্গিলা মিয়ার মরদেহ এটা সনাক্ত করেন।এছাড়াও লাশ উদ্ধারের পূর্বে পরিবারের সদস্যরা তাদের আত্মীয় স্বজন সহ সকল সম্ভাব্য স্থানে খোঁজা খুজি করে না পেয়ে পরদিন ১৫ জুলাই(মঙ্গলবার)ছেলে পিতা নিখোঁজের বিষয়ে বানিয়াচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।ডায়েরিতে পুত্র উল্লেখ করেন তার পিতা ১৪ জুলাই (সোমবার)রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের কালার ডোবা নামক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন।এছাড়াও পিতা মো:রঙ্গিলা মিয়া নিখোঁজের বিষয়টি গণমাধ্যমের মধ্যে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ও বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করিয়ে ছিলেন তিনি ও পরিবারের লোকজন।কিন্তু তাতেও তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না বলে জানিয়েছেন তারা।এদিকে১৯ জুলাই(শনিবার )হঠাৎ করে দুপুরের দিকে বানিয়াচং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের সুনারু গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওরের মধ্যে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন।বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিক ভাবে বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করেন।খবর পেয়ে থানার ওসি'র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি)গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে।ঘাতকেরা হত্যা করে হয়তো তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাথর দিয়ে হাওরের পানিতে তলিয়ে দিয়েছিলো।এই বিষয় সম্পর্কে তিনি আরও বলেন,এটা নিয়ে পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগন তদন্ত করে যাচ্ছেন।তিনি আশা করেন অচিরেই এই ঘটনার দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবেন।যদি এরকম কোন কিছু হয়ে থাকে তার সাথে।এ ব্যাপারে সর্বশেষ জানতে সন্ধ্যা,সাড়ে ৬টার দিকে নিহত রঙ্গিলা মিয়ার পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ব্যস্ততার কারনে হয়তো সাড়া পাওয়া যায়নি।তবে তার এক আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,বর্তমানে লাশটি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রয়ে গেছে পোস্ট মর্টেমের কাজ শেষ হয়নি।তবে কখন কোথায় তার জানাজার নামাজ ও দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে এই সিদ্ধান্ত পরিবার থেকে এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।তাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।