প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১৭, ২০২৫, ৪:২৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২২, ২০২৫, ১২:২৭ এ.এম
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চৌদ্দগ্রামে সেরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ

মনোয়ার হোসেন, কুমিল্লা:
শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের সফলতার পিছনে যাদের মূল চেষ্টা কাজ করেছে, তারা হলেন শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী নিজে। আমরা এটুকু বলতে পারি, এ সফলতা যদি অর্জন করতে হয়, তাহলে এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। সুতরাং শিক্ষকদের উপর যদি আমি সব দায়িত্ব ছেড়ে দেই, তাহলে সফলতা আসবে না। শিক্ষক, অভিভাবক চেষ্টা করলো, কিন্তু শিক্ষার্থী করলো না তাহলেও সফলতা আসবে না। একজন শিক্ষার্থীর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ ঘন্টা শিক্ষকের কাছে থাকে, বাকি ২০ ঘন্টা থাকে অভিভাবকের কাছে। শিক্ষক এই ৪ ঘন্টা পরামর্শ ও নির্দেশনা দিবে, সে কিভাবে চলবে ও পড়বে। সেই পরামর্শ মতো চলছে বা পড়ছে কি না তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। সুতরাং আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যত সে কিভাবে গড়ে তুলবে, সে আপনাকে গর্বিত করবে, নাকি লজ্জিত করবে, তার সম্পূর্ণ আপনার যত্ন ও গুরুত্বের উপর নির্ভর করছে। সন্তানের সফলতার জন্য বাবা-মাকে আরও বেশি সচেতন ও সময় দিতে হবে। সে কার সাথে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কখন ফিরছে, সেগুলো পিতা-মাতাকে দেখতে হবে। আমরা বর্তমানে যে স্মার্ট যুগের দিকে যাচ্ছি, তত বেশি চ্যালেঞ্জ বেড়ে যাচ্ছে। আপনার সন্তানকে দেয়া স্মার্ট ফোন সে কোন কাজে ব্যবহার করছে, সেটা অবশ্যই দেখতে হবে।
সোমবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পারফরম্যান্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি স্কিম, এসইডিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০২২ ও ২৩ শিক্ষাবর্ষের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ২৭ সেরা শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন এসব কথা বলেন। উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মাঈন উদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসের প্রোগ্রামার রানা কুমার সাহা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম মাধ্যমিক পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মাহফুজুর রহমান, আলহাজ্ব নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্লাহ, চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম সামছুদ্দিন, চাঁন্দকরা সেকান্দর আালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদ উল্যাহ ভুঁইয়া। কোরআন তেলাওয়াত করেন সিংরাইশ রহমানিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ আ.ন.ম মোখলেছুর রহমান নোমান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফারিয়া আক্তার, মাহমুদুল হাসান, তাসফিয়া তাহফিম ও সামিয়া রহমান। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহন, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট স্কিম প্রকল্পের আওতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেয়ার জন্যই প্রতি বছর ক্রেষ্ট, সনদ ও গিফট দেয়া হয়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ দেশ বাংলা প্রতিদিন