সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা’ শীর্ষক এক গভীর মননভিত্তিক আলোচনা সভা।
এই আলোচনায় উচ্চশিক্ষার কাঠামো, নৈতিকতা ও ভবিষ্যত ভাবনা একবিন্দুতে মিলিত হয়ে উঠল; যেখানে ইতিহাসের অভিঘাত মিশেছে নীতিনির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা ও তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনায়।সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম।সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, পিএইচডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. আনিছা পারভীন, আলোচনার আহ্বায়ক মো. সামজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সামিয়া জাহান। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন নাফিস সাদমান (ইংরেজি বিভাগ), নূর-ই জান্নাত (বাংলা বিভাগ), রাজিব মিয়া (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ) এবং রিফাত রেজওয়ান জয় (অর্থনীতি বিভাগ)। তাঁদের কণ্ঠে প্রতিফলিত হয় এক নতুন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে চিন্তার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সুযোগ, ও ন্যায়বিচারের চর্চার জায়গা।শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের সক্রিয় উপস্থিতিতে সভাটি হয়ে ওঠে এক জীবন্ত সংলাপ যেখানে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত একে অপরকে প্রশ্ন করে, আলো দেয়। এই আয়োজন শুধু আলোচনা নয়, একটি দৃষ্টিভঙ্গি ।বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হবে জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশে?এটি কেবল একটি স্মৃতি নয়, বরং শিক্ষাব্যবস্থার নৈতিক ও রাজনৈতিক ভিত্তিকে নতুন করে নির্মাণের চেতনা।নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী ক্যাম্পাস ছেড়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন ক্যাফেটেরিয়া উদ্বোধন করা হয়েছে।এটি ছিল অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব, যেখানে ক্যাম্পাসে উন্নত সুযোগ-সুবিধার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গৃহীত হলো।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, পিএইচডি, ও ট্রেজারার ড. আনিছা পারভীন উপস্থিত থেকে ক্যাফেটেরিয়া উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে পায়রা ওড়ানো হয়, যা নতুন স্বাধীনতা ও সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে ওঠে।ক্যাফেটেরিয়া পরিদর্শনের পাশাপাশি বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। বৃক্ষরোপণ সেই আশার প্রতীক, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও সবুজায়িত করবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শান্তিপূর্ণ অধ্যয়নক্ষেত্রের সৃষ্টি করবে।
এই পদক্ষেপ স্বচ্ছন্দ, আধুনিক ও প্রাণবন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পথে নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও স্থায়ী ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু স্থানান্তরের লক্ষ্যে নেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।