আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার পর্যটননগরী সোচিতে ইউক্রেনের চালানো একটি ড্রোন হামলায় একটি তেল ডিপোতে আগুন ধরে গেছে। গত শনিবার (২ আগস্ট) গভীর রাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।রোববার (৩ আগস্ট ২০২৫) সকালে ক্রাসনোদার অঞ্চলের গভর্নর ভেনিয়ামিন কন্দ্রাতিয়েভ এক টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, “সোচি শহরে কিয়েভের ড্রোন হামলার ফলে একটি তেলের ট্যাংকে আগুন ধরে যায়।” তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।সোচির মেয়র আন্দ্রে প্রোশুনিন জানান, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক। সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে তা পুনরায় শুরু হয় বলে নিশ্চিত করে রাশিয়ার বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ।সোচি শহরটি ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, যেখানে এই ধরনের হামলা খুবই বিরল। তবে গত জুলাইয়ের শেষদিকে একই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত হয়েছিল।গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সোচির ঘটনার একদিন আগেই রুশ মধ্যাঞ্চলের রায়াজান শহরে একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়ে আগুন লাগানোর দাবি করে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী।এদিকে রাশিয়া পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার রাতভর রাশিয়া ৭৬টি আক্রমণাত্মক ড্রোন এবং ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার মধ্যে তারা ৬০টি ড্রোন ও একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।এই হামলায় জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলে তিনজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে। পাশাপাশি মাইকোলাইভ শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও সাতজন আহত হন এবং অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এরই মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জুলাই মাসে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, চলতি সেপ্টেম্বরের শুরুতে কোনো শান্তিচুক্তির অগ্রগতি না হলে রাশিয়ার উপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনো তার পুরনো অবস্থানে অনড়—ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
সূত্র: আল জাজিরা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে নেওয়া