সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষককে তাঁরই এক সহকর্মী শিক্ষক কর্তৃক অপমান ও লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে।স্কুলটির সহকারী শিক্ষক ভুক্তভোগী সৈয়দা মনিরা বেগম কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে এক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার সময় সহকারী শিক্ষক মোসতাক আহমেদ তাঁকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাষায় অপমান করেন ও এক পর্যায়ে চর-থাপ্পড় মারার হুমকি দেন।ঐ ঘটনার সময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।তিনি আরও অভিযোগ করেন,এর আগেও সহকারী শিক্ষক মোসতাক আহমেদ তাঁর সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। ঘটনাটি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যদের অবহিত করেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষক। তাঁদের আশ্বাসে কিছুদিন অপেক্ষা করলেও সঠিক কোন সুরাহা না হওয়ায় সর্বশেষ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ঐ নারী শিক্ষক।ভুক্তভোগী নারী শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোথাও কোন সঠিক সুবিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে অবশেষে চলতি মাসের ৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এঁর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার আত্মসম্মানে আঘাত ও মানসিক নির্যাতন শিকারের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছি।সহকারী শিক্ষক মোসতাক আহমেদ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফসা ম্যাডাম বিষয়টি নিয়ে আপনার সাথে (প্রতিবেদক) কথা বলার কথা, যেহেতু তিনি কথা বলবেন তাহলে নিউজের জন্য বক্তব্য নেয়ার কি দরকার!নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইজনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষক মোসতাক আহমেদ বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক সৈয়দ মনিরা বেগমের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে ঘটনাটি সত্য, তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইচ্ছে করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফসা ম্যাডাম বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফসা বেগম বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় সময়ই এরকম ঘটনা ঘটে। আর ওইদিনও ঘটেছিল, কিন্তু আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছিলাম। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাফসা বেগম প্রতিবেদকের সাথে পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দেখা করবেন বলে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী নারী শিক্ষক সৈয়দা মনিরা বেগমের সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে