অনলাইন ডেস্ক:
ইসরায়েল গাজা শহরে তার সামরিক অভিযান তীব্রতর করেছে, যা মূলত এই অঞ্চলটির শেষ বড় জনবসতি কেন্দ্র দখলের লক্ষ্য নিয়ে চালানো হচ্ছে।এর ফলে ক্ষুধার্ত হাজার হাজার প্যালেস্টাইনিকে আবারও তাদের বাড়ি থেকে সরে যেতে হচ্ছে।বিশেষ করে গাজা শহরের জেইতুন, সাবরা, রেমাল এবং তুফাহ এলাকার বসবাসকারীরা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবিক বিষয় সমন্বয় অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার দিকে প্যালেস্টাইনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের ইসরায়েলি পরিকল্পনা তাদের দুর্দশা আরও বাড়াবে।জেইতুন এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, যেখানে কয়েকদিনের ক্রমাগত হামলার ফলে মহল্লাটি ধ্বংসপ্রায় হয়ে গেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) কমপক্ষে সাতজন নিহত হন, যখন গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালের প্রাঙ্গণে একটি ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়।একই দিনে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের জন্য তাঁবু ও আশ্রয় নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করা হবে যারা ২২ মাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যে একাধিকবার গৃহহীন হয়েছেন। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে বহু মানবাধিকার সংস্থা গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।আল জাজিরার হিন্দ খৌদারি (মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে প্রতিবেদক) জানিয়েছেন, গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা অনেককে তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে।তিনি বলেন, “জেইতুন একটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যেখানে অনেক পরিবার বসবাস করছে। কিছু মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। হঠাৎই গোলাবর্ষণ এবং তীব্র বিমান হামলা শুরু হয়। অনেকে তখনও অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু ক্রমবর্ধমান সহিংসতায়, অনেককে আবারও ক্ষুধার্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় স্থানান্তরিত হতে হয়েছে, তাদের সব কিছু ফেলে।’’
সূত্র: নিউজটি আল জাজিরা