বিয়ের মাত্র দুই বছর পর আগুনে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতাল বেডে ৭ দিনধরে যন্ত্রণায় ছটফট করে অবশেষে অন্তসত্বা গৃহবধূ তিশা (২০) হেরে গেলো মৃত্যুর কাছে।
অন্তসত্বা গৃহবধূ তিশা'র পিতার বাড়ী সহ স্বজনদের অভিযোগ। গৃহবধূ তিশাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন পূর্বক তার শরীরে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
শনিবার সকালে অন্তসত্বা গৃহবধূ তিশা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এরপূর্বে গত ৪ ফেব্রুয়ারী দিনগত রাতে নরসিংদী'র পশ্চিমকান্দা পাড়া এলাকায় ৫ মাসের অন্তসত্বা গৃহবধূ তিশা তার স্বামীর বাড়িতে আগুনে দগ্ধ হোন।
স্থানিয় সুত্র জানায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে নরসিংসীর পশ্চিমকান্দাপাড়া এলাকার কাজল সাহা'র সাথে সে সময় তিশা সাহা (১৮) এর পারিবারিক ভাবে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়।
স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারী দিনগত সন্ধ্যায় কাজল সাহার বাড়িতে চিৎকার শুনতে পান স্থানিয়রা। চিৎকার শুনে সে সময় স্থানিয়রা এগিয়ে এলেও বাড়ির ভেতরের গেট বন্ধ থাকায় ভেতরে যেতে পারেননি স্থানিয়রা।
এরপর কাজল সাহা ও তার বাড়ির লোকজন অন্তসত্বা গৃহবধূ তিশা রান্না করার সময় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন বলে আগুনে দগ্ধ তিশা সাহাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ঐ দিনই হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তিশা সাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ দিন পর শনিবার সকালে মারাযান অন্তসত্বা গৃহবধূ তিশা সাহা।
নিহত গৃহবধূর পিতার বাড়ির স্বজনদের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন অন্তসত্বা তিশাকে নির্যাতন পূর্বক তার শরীরে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা।
ঘটনাটি জানার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে জানিয়ে নরসিংদী জেলা সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।