সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় মুক্তি যোদ্ধাদের পরিতেক্ত ঘর রয়েছে, কিছু জায়গা প্রভাব শালীদের দখলে নিয়েগেছে। মধ্যনগর উপজেলায় মোট ৩৭ জন মুক্তি যুদ্ধার মাঝে জিবিত আছেন ১৭ জন। সকল মুক্তি যোদ্ধাদের দাবি পোরো জায়গা দখল মুক্ত করে নতুন ভবন নির্মাণ করার। ভাঙ্গা ঘরে চলছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুর্য্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধের সাংগঠনিক কাজ কর্ম। পাশাপাশি জীবনের সুখ দুঃখের সৃতিচারণ ভাগাভাগির অবসরে আড্ডা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধে সমগ্র বাংলাদেশ কে,১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়ে ছিল। আর ১১ নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল আবু তাহের। তিনি মহান মুক্তিযোদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে আহত হয়ে ছিলেন। তিনি যুদ্ধে আহত হওয়ার পর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল্লাহ খান।মুক্তিযোদ্ধের ১১ নং সেক্টরের ৭ নং সাব সেক্টর ছিল মহেশখলা।
মধ্যনগর উপজেলার মহেষখলার ৭ নং সাব সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য( এম পি মরহুম আব্দুল হেকিম চৌধুরী, মরহুম ডাঃ আখলাখ হোসাইন। মহেষখলা হল সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলায় অবস্থিত। যা গার পাহাড়ের পাদদেশে। পাহাড় বা বর্ডার এবং বিশাল হাওর হওয়ায় এই মহেষখলা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নিরাপদ ট্র্রেনিং সেন্টার। ভৌগোলিক ভাবে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে মধ্যনগর উপজেলা গঠিত। সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা জামালপুরের মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং নিত এই মহেষখলায়। ট্রেনিং নিয়ে দেশ মাতৃকার টানে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে ছিল জাতির এই সুর্য্য সন্তানরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে।
বড় পরিতাপের বিষয় আজ জাতির এই সুর্য্য সন্তানেরা ভাংগা ঘরে বসে তাদের সাংগঠনিক কাজ কর্ম পরিচালনা করছে। যা জাতি হিসেবে অত্যান্ত লজ্জা দুঃখের বিষয়। মধ্যনগর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষে বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন করেছে। সেই সারা বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কাছে আমাদের প্রানের দাবী মধ্যনগর মুক্তি যুদ্ধাদের নতুন ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য।
এমতাবস্থায় আজ আমরা মধ্যনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা ভাংগা ঘরে বা ঝুপড়ি ঘরে সাংগঠনিক কাজ কর্ম পরিচালনা করে আসছি । সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন মহোদয় আমাদের অস্থায়ী কার্যালয় মেরামতের জন্য টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন যা এখনও আমরা পাইনি।তিনি আরো বলেন, কমপ্লেক্স হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ঘর মেরামত করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে, বৃষ্টি আসলে পানি পড়ে। এমনকি হাল্কা বাতাস আসলে উড়িয়ে নিয়ে যাবে আমাদের চেতনার এই আশ্রয় স্হলটি । তিনি আরো বলেন, সাড়ে তিন শতাংশ জাগার মধ্যে এক শতাংশ জাগা দখল করে নিয়েছে স্হায়ী প্রভাবশালী মহল যা মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান কে,জানানো হয়েছে।
এই মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় টি মেরামত এবং সীমানা প্রাচীর না দিলে পুরো অংশই বেদখল হয়ে যাবার আশংকা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু সরকারি বিভিন্ন প্রসাশনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি মধ্যনগর একটি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবন স্হাপনের। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, মধ্যনগর নব গঠিত উপজেলা হওয়ায় কমপ্লেক্স নির্মাণ একটু সময়ের প্রয়োজন। এই জয়গাটি এসিলেন্ডকে নিয়ে ডিমার গেশন করে চিহ্নত করব । আর মুক্তিযোদ্ধাদের জাগা দখলের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্হা নেওয়া হবে।