সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে নওগাঁয় আরো ১ হাজার ২শ' ৯০টি গৃহহীন পরিবার এর মুখে হাঁসি ফুটতে যাচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলার ৯টি উপজেলায় বসতহারা পরিবারকে এসব নতুন ঘর করে দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সারে ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসব ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩শ' ৬৫ ভৃমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে খাস জমি ও ঘর প্রদান করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় চতুর্থ পর্যায়ে ১ হাজার ২শ' ৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতে এসব নতুন ঘড় হস্তান্তরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরে নওগাঁয় এসব ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ১ হাজার ২শ' ৯০টি পরিবারকে ২ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত পূবক করা হয়েছে। এসব গৃহ নির্মানের কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করে ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। প্রতিটি গৃহে দুইটি কক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা আছে। এসব গৃহ প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১শ' ২০টি, বদলগাছীতে ১০০টি, ধামইরহাটে ১শ' ৪০টি, পত্নীতলায় ১শ' ৪৬টি, মান্দায় ১শ' ৭৭টি, মহাদেবপুরে ১শ' ১৬টি, নিয়ামতপুরে ১শ' ৬০টি, পোরশায় ১শ' ৫৪টি, সাপাহারে ১শ' ৭৭টি গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবার এসব ঘর পাবেন। এর মধ্যে মহাদেবপুর, ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন সহ প্রশাসনের অন্যন্যা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এর আগে নওগাঁ জেলায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫শ' ২টি, ৩য় পর্যায়ে ৭শ' ৩৭টি সহ মোট ২ হাজার ২শ' ৯৫ গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন (নতুন ঘড়) দেওয়া হয়েছে।