আগামীাল ২৯.০৪.২০৩.বরিবার শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, সকাল ১০টায় একটাইমে সারাদেশের ৩ হাজার ৮১০ কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথমদিন এসএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র, দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবারের পরীক্ষায় সারাদেশের ২৯ হাজার ৭৯৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। এবারও সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। তবে তাদেরকে ১০০ নম্বরেই প্রশ্ন করা হবে। আর পরীক্ষার সময়ও থাকবে পূর্ণ তিনঘণ্টা। সব বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথ্য থেকে জানা গেছে এবার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন এসএসসির। তাদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন। আর কারিগরি বোর্ডে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৯৭ হাজার ৩৩৪ ও ছাত্রী ৩০হাজার ৪৩৩জন।
এবারের পরীক্ষায় , ছাত্রছাত্রীদেরকে পরীক্ষার হলে কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে প্রবেশ করতে হবে।
কোনো শিক্ষক মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেবল কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহণ কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোন যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড সচিবকে জানানো হবে। সেটি অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। এমনকি কেউ গুজব ছড়ালে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিটিআরসিকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে। ফেসবুকে প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সন্দেহজনক লেনদেন নজরদারি রাখা হবে। যেসব গ্রুপ বা ব্যক্তি ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াবে তাদের আইডি শনাক্ত করে পুলিশের বিশেষ শাখা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হবে।
প্রশ্ন ছাপানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। এমনকি প্রশ্ন সর্টিং ও বহনে জড়িত শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও নজরদারিতে থাকবেন।
আগামী ২৩ মে এসএসসি এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে। আর দাখিল লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে।
নুসরাত জাহান কচি /দেশবাংলা প্রতিদিন