আহসান হাবীব নাহিদ সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে
ভালো ফলনে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
সরেজমিনে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি নির্ভর একটি উপজেলা। উপজেলা কৃষি অফিসারদের নিরলস প্রচেষ্টায় এবং সরকারী প্রনোদনার মাধ্যমে প্রতি মৌসুমে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন শস্য বীজ ও সার বিতরণের কারণে এখন প্রায় সব ধরনের কৃষি পন্য উৎপাদন হয়ে হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শষ্য সহ শাক-সবজি চাষে এ উপজেলা উল্যেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
এউপজেলার উৎপাদিত কৃষি পন্য নিজ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে এখন বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করে বেশ মুনা লাভ করছেন কৃষকরা।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ এই এলাকায় ভুট্টা চাষে অনাগ্রহী ছিলো চাষিরা।
তবে দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এবং সরকারি প্রনোদনার মাধ্যমে কৃষকদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ভুট্টা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এবছর বেশ কয়েকটি জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে এগুলো হলো নূর ভ্যারাইটি, রাজলক্ষ্মী, এনকে ৪০, কোহিনুর, ৯০০এম, ৯০০ এম গোল্ড, পাইওনিয়ার, সুপার ৭২০, এসিআই, সুপার গোল্ড, সান সাইন, সুপার সাইন ২৭৬০, কাবেরী-৬৩, কাবেরী-১০০ ইত্যাদি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,
এবছর উপজেলায় ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯শ ৫০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ১হাজার ২০ হেক্টর।
এবং হেক্টর প্রতি ভুট্টার ফলন হয়েছে ৮.৭২ মে: টন। সে অনুযায়ী মোট ৮৮৬৮ মে: টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মতিউল আলম বলেন, ভুট্টা চাষে এবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এবার রাজলক্ষী, নূর ভ্যারাইটি, এনকে -৪০ সহ বেশ কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে। এগুলোর প্রতি শতাংশে প্রায় ২মন যা বিঘা প্রতি প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মন পর্যন্ত ফলন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন উপজেলা কৃষি অফিসার।
ভূট্টা একটি লাভজনক ফসল, এজন্য উপজেলার কৃষকদের ভুট্টা চাষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।