ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে ভেসে উঠে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
রোববার (১৪ মে) সকাল থেকেই সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউপির খেওয়াই গ্রামে মাছ ধরার জন্যে হুমড়ি খেয়ে তিতাস নদীতে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। নদী থেকে মাছ পেয়ে খুশি তারা। তবে হঠাৎ করে মাছগুলো নদীতে ভেসে উঠার কারন জানাতে পারেননি কেউ। প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত চার শতাধিক মানুষ পাঁচ লাখ টাকার মাছ শিকার করেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সকাল থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। আকাশ বেশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এরই মধ্যে খেওয়াই গ্রামবাসী জানতে পারেন তাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদীতে দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় বিভিন্ন মাছ ভেসে উঠেছে। এমন খবর পেয়ে ঝাকিজাল, পেলুন, কুনই জাল, দেশীয় চল, টেডা বল্লম নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে ঝাপিয়ে পড়েন তারা। এসময় তারা নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ ধরেন।
নদীতে মাছ ধরতে আসা মো. মুসলিম মিয়া নামে এক বাসিন্দা বলেন, সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই নদীতে মাছ ভেসে উঠেছে। পরে গ্রামের অন্যান্য মানুষেরা এসে মাছ ধরা শুরু করেছে। আমিও কিছু মাছ পেয়েছি। তবে ঠিক কি কারণে মাছ এভাবে ভেসে উঠেছে সেটা বলা যাচ্ছে না।
মো. ফায়েজ নামে আরেকজন বলেন, আমি মাছ ভেসে উঠার খবর পেয়ে এখানে মাছ ধরতে এসেছি। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ও ঠান্ডা পরিবেশ ছিল। এ কারণেই হয়তো মাছ ভেসে এসেছে। এখানে অনেক মানুষ মাছ ধরেছে। বোয়াল, বাইম, টেংরা, পুটি এ মাছগুলোই বেশি ছিল। কেউ কেউ মাছ বিক্রি করে ২ থেকে ৫ হাজার টাকাও পেয়েছে।
নদীতে মাছ ভেসে উঠার কথা নিশ্চিত করে স্থানীয় মাছিহাতা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল জানান, সকালে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি মানুষ মাছ ধরছে। তবে কি কারণে মাছ ভেসে উঠছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। তবে বিষয়টি তদন্ত করার জন্যে জেলা মৎস্য বিভাগের কাছে দাবি জানাচ্ছি।