এ.এম.সারোয়ার জাহান নিজস্ব প্রতিবেদক
আদালতের এক নির্দেশনায় এবছর রাজধানীর আবাসিক এলাকা আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না।
হাট বসানো নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে আফতাবনগরের বাসিন্দারা এ বিষয়ে আবেদন জানান। তারা বলেন, গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে আবাসিক এলাকার বসবাসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। গরু-ছাগলের বর্জ্য পরিবেশ দূষণ, চলাচলের প্রধান সড়কে হাট বসায় যাতায়াতে দুর্ভোগ লাশ বহন বা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর নির্দেশনা সংক্রান্ত নোটিশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবাসিক এলাকা আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ১৫ মে আসন্ন কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আফতাবনগরে গরুর হাট না বসানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন।
রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান ভূমি অফিসার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন হাউজিং ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ সাহে আলম সই করা সম্পত্তি বিভাগ ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দরপত্র ঘোষণা করেন। দরপত্রে ঈদুল আজহার দিনসহ পাঁচ দিন গরুর হাটের কথা উল্লেখ করা হয়।
রাজধানীর বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাবনগরে ব্লক-বি হতে এইচ পর্যন্ত খালি জায়গা যা বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের অংশ। আফতাবনগরসহ উত্তর সিটি করপোরেশন সাত স্থানে কুরবানির গরু বিক্রির জন্য বাজারের ইজারা আহবান করেছে।
এর আগে সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে বাসিন্দাদের পক্ষে শেখ মাহমুদ উজ্জ্বল আবেদন করেন। বলা হয়, জহিরুল ইসলাম সিটিতে (আফতাবনগর) বসবাসরত লোকজন পবিত্র কুরবানি ঈদের আগে ও পরে প্রায় এক মাস উষ্ণ অস্থায়ী হাট স্থাপনের কারণে ব্যাপকভাবে মানবেতর জীবনযাপন করেন। যেহেতু চলাচলের প্রধান সড়কের ওপর অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট বসে, সেহেতু আফতাবনগরে বসবাসরত নাগরিকদের যাতায়াতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় কোনো লোক অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢোকানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।
গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে আবাসিক এলাকাটির বসবাসের পরিবেশ অযোগ্য হয়ে পড়ে। যা বাসিন্দাদের অনেক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।