আজ পালিত হলো মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহা। আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে ঝরে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার ফলে ঈদের আনন্দ ও পশু কুরবানীতে খুশি কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। গত দুইদিনের মতো আজোও সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়েছে, কখনো মুষলধারে কখনো থেমে থেমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের নামাজ শেষে মহল্লায় মহল্লায় নিজ নিজ পশু কোরবানি করেন মুসল্লিরা। ঢাকার সব অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।
দেখা গেছে, রাজধানীর অলিগলি, নির্দিষ্ট ফাঁকা জায়গায় আজ পশু কোরবানি হচ্ছে। এদিকে, গরু কেনা থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট হাসিল পরিশোধ এবং কসাইয়ের মজুরি বিচার করলে দেখা যায়, কোরবানির মাংসের দাম দাঁড়ায় কেজি প্রতি প্রায় ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা মূলত গরু কেনার ওপর নির্ভর করে এর দাম, অথচ সেই মাংসই এখন হাত ঘুরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে ৪৭০* ৫৩০ টাকা দরে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চোখে পড়ছে সেই দৃশ্য। মূলত বিকালের পর থেকে এ বিষয়টা আরও বেশি দেখা গিয়েছে। বেলা যত গড়ায় রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে চোখে পড়ে এসব অস্থায়ী মাংসের হাট। এবারও দেখা গেল সে একই চিত্র। শহরের অলিতে-গলিতে অস্থায়ী এ বাজারে তুলনামূলক কম দামে মাংস বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, তেজগাঁও, বাড্ডা লিংক রোড, উত্তর বাড্ডা, রামপুরা , খিলগাঁও, সবুজবাগ নন্দীপাড়া৷ বাসাবো আর বিভিন্ন এলাকায় এ দৃশ্য দখা গেছে।
মূলত সকাল থেকে ভিক্ষুক এবং গরিব-অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে যে মাংস সংগ্রহ করেছেন সেগুলোই তারা এসব স্থানে বিক্রি করছেন। কিন্তু এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ীরা৷
সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এরকম এক মাংস বিক্রেতার দেখা মিলল। চটের ব্যাগে করে প্রায় পাঁচ কেজি মাংস নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। জানতে চাইলাম, এখানে কেনো এনেছেন তিনি বললেন, এত মাংস রান্না করে খাওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। মাংস রাখার মতো কোনো ফ্রিজ নেই তার চেয়ে বরং কিছু মাংস বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় সেটা দিয়ে আরও কয়েক দিন ভালোভাবে সংসার চালানো যাবে বলে তিনি জানান৷