নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি ক্রোকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন এ আবেদন করেন। দুদকের আইনজীবী প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম তা আদালতে উপস্থাপন করেন।
আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ হুন্ডি ও আন্ডারইনভয়েসিং/ওভারইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তালিকায় উল্লেখিত স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।