রিপন কান্তি গুণ, বিশেষ প্রতিনিধি (নেত্রকোনা): সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বুধবার সকালে ‘মহালয়া’ উৎসবের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল পর্ব।

প্রতিবছর নেত্রকোনা জেলায় সব মণ্ডপে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার জেলায় অন্তত ৯৫টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করছেন না সনাতন ধর্মালম্বীরা।

সরেজমিনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখাগেছে, জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলার মন্ডপে মন্ডপে চলছে পূজা আয়োজনের শেষ প্রস্তুতি। তবে, গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

নেত্রকোনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন পণ্ডিত জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় পূজা মন্ডপের সংখ্যা তুলনামূলক কমেছে। গত বছর জেলায় পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ছিল মোট ৫৬০টি। কিন্তু এ বছর জেলায় ৪৬৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলায় পূজার সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জ্ঞানেশ চন্দ্র সরকার বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে এ বছর অনেকেই পূজার জন্য বাজেট কমিয়ে দিয়েছেন আবার অনেকেই দেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আতঙ্কের কারণে পূজা আয়োজনের সাহস করতে পারেনি এবং পূজা করতে ভয় পাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, জেলার পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রসাশন ছাড়াও জেলা-উপজেলায় অবস্থানরত সেনাসদস্যরা নির্বিঘ্নভাবে পূজার আয়োজনের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।

জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানান, পূজার নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি হিসেবে জেলার প্রত্যেকটি মণ্ডপেই সিসিটিভির ব্যাবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মোবাইল টিম, স্ট্যান্ডিং ডিউটি ও ক্লাস্টার ব্যাসিসে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তাসংক্রান্ত অনান্য বাহিনীগুলোও সক্রিয় থাকবে। পূজা চলাকালীন সকল মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মাঠে সর্তক পাহারায় থাকবে পুলিশ, যাতে পূজায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটতে না পারে।