বাংলাদেশের মহান স্থপতি যার নেতৃত্বে স্বাধীন পতাকা পেয়েছে বাংলাদেশ, জাতির পিতা মুজিবুর রহমানের ৪৮তম
শাহাদাতবার্ষিকী আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এই দিনটি উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল বিনম্র শ্রদ্ধা
জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
/
১৫ই আগস্ট ৬টা ৩২ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা অর্পণের মাধ্যমে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং
কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। তখন বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড
অব ওনার প্রদান করেন। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টের নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা
করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের সদস্য ও অন্য
শহীদদের কবরে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি অর্পণের পর সূরা ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন
১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে
বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেদিন গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর
উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য। ওই দিন রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত
হন বাঙালি জাতির জনক।
ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এ হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল,
রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু
মণি, ভগ্নীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। আল্লাহ অশেষ রহমতে কারনে ওই সময়
দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই ছোট মেয়ে শেখ রেহেনা ও বড় মেয়ে শেখ হাসিনা, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে
যাচ্ছে সারা বিশ্বের কাছে আজ পরিচিতি লাভ করেছে, সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের আশার আলোর প্রতীক বাংলাদেশের
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/
এ.এম সারোয়ার জাহান/ দেশবাংলা প্রতিদিন