মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। সরকারী ভাবে এত টাকা নেয়ার কোন নিয়ম না থাকলেও চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদসহ একটি চক্র সবার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যা পুরোপুরি অন্যায়। প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান। সরকার দলীয় লোক হওয়ায় সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে মিছিল করেন। মিছিলে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষ দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দেন।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদ বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোন অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয় না। চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেয়ার পর মাইকিং করে কাউকে অতিরিক্ত টাকা না দিতে বলেছি। এরপরও পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আনীত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়াউল হক মীর জানান, দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যেই সরেজমিনে একদিন তদন্ত করেছি। এ বিষয়ে আরো তদন্ত করতে হবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।