বরগুনা জেলা প্রতিনিধি/
বরগুনার জেলার পাথরঘাটা রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন বন কেন্দ্রগুলোতে চলছে দৈন্যদশা। একদিকে জনবল সংকট অন্যদিকে বাসস্থানের অভাব রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিট কর্মকর্তা জানান ভাই আমাদের নাম প্রকাশ করবেন না উপারে নির্দেশ আছে অনুমতি ছাড়া সাক্ষাৎকার দেওয়া যাবে না তারপরেও আপনাকে বলছি আমাদের পাথরঘাটা রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন পাঁচটি বন কেন্দ্র রয়েছে। চরদুয়ানি, টেংরা, চর লাঠিমারা, হরিণঘাটা, পাথরঘাটা সদর। স্টাফদের থাকার মতো নেই ভালো কোন ব্যবস্থা, আমরাও তো মানুষ আমাদেরও তো রেস্ট এর প্রয়োজন আছে। আপনারা যা সামনেই দেখতে পাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত এফসিসিও সোহরাফ হোসেন বলেন আমি ২০১৯ সালে পাথরঘাটা যোগদান করি এখন পর্যন্ত ৫৩টি মামলা পরিচালনা করছি। এমনকি পাচ্ছি না বেতন টাকা ছাড়া ফটোকপির টাকাও। আগে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দিতো রেইঞ্জ কর্মকর্তা এখন তাও পাই না। লোক বলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন চরদুয়ানি -২জন, টেংরা -২জন, চরলাঠি মারা- ৩,হরিণঘাটা -৬জন,পাথরঘাটা সদরে-২ জন স্টাফ রয়েছে। তারা কি কাজ করবে, এক জন অসুস্থ হলে আর একজন কি করতে পারে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বৃহস্পতিবার ২/১ জন, বন কেন্দ্র থাকে, বাকিরা পটুয়াখালী মিটিং এর কথা বলে বাড়ি চলে যায়, রবিবার সকালে তারা আবার আসে। আবার অনেকের বাড়ি কেন্দ্রের কাছাকাছি,প্রয়োজনে আসে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করে সরকার বৃক্ষের চারা রোপণ করে বাগান নির্মান করছে , কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা জনবলের অভাবে বেহেস্তে চলে যাচ্ছে সেই টাকার বাগান । আবার যাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চৌকিদার হিসেবে তারা তাদের মজুরি সঠিক ভাবে পায় না। সব কিছু ডিজিটাল হলেও হয়নি বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা নতুন পদ্ধতি, ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বেতন ভাতা পাওয়ার দাবি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর। নাম না প্রকাশে এক কর্মচারী জানান চারা লাগাই চরে আমরা অসাধু জেলেরা স্যারের সাথে যোগাযোগ করে চারার বাগানের মধ্যে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল, খেরী জাল, নেট জাল দিয়ে মাছ ধরে চারা নষ্ট করে।
এ বিষয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলেন এই সুন্দরবন এরিয়ার পাথরঘাটা, কুমির মারা, টেংরা গিরি, বন আছে বলেই ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহিসেনের আঘাতে উপকুলে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা অনেকটা কম হয়েছিল। এ বন রক্ষায় সরকারের উচিৎ দ্রুত প্রয়োজনমতো জনবল নিয়োগ , কর্মচারীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা, বন নষ্ট কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা।
এ বিষয় পটুয়াখালী বরগুনার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন আমাদে জনবল সংকট, বাস স্থান সমস্যা দীর্ঘদিনের, এ সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলছে, অতি তারাতারি সমাধান আসবে বলে আমি মনে করি। অন্যান্য বিষয় আমি খতিয়ে দেখব, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করব।