শ্রমিক জনস্বার্থ বিরোধী দুর্নীতিবাজ অটোরিকশা মালিক ট্রাফিক পুলিশি হয়রানি সহ নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে৪ডিসেম্বর রবিবার সকাল এগারোটায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ বাদল আহমেদ,তিনি বলেন আপনারা জানেন অটোরিকশা চালকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি।সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকগন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে আমরা আমাদের ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বরাবরই শ্রমিকদের পক্ষে পুলিশ প্রশাসনসহ বিআরটিএর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আসছি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আজও পর্যন্ত শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবি পূরণ করা হয়নি, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিক্সার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ থাকলেও মালিকরা দৈনিক ১০০০টাকা থেকে ১২০০ টাকায় এক হাতে নিচ্ছেন এবং আইনে শিফটিং না থাকলেও মালিকটা দুই শিফটে ৩ শিফটে গাড়ি চালান। দুই শিফট১৬০০থেকে ১৭০০ টাকা আদায় করেন। কোন শ্রমিক অসন্তোষ জানালে চাবি রেখে দেয়া ও চাকরি হারানো নিত্যদিনের ঘটনা দাঁড়িয়েছে।ঢাকা সিটিতে পার্কিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই, কিন্তু নো পার্কিং এর মামলা কথায় কথায় রেকারিং এবং ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি সিটি টোলের নামে মহানগর দক্ষিণের চাঁদাবাজি চলছে ৭০ টির অধিক পয়েন্টে।এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশন এয়ারপোর্ট গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে শ্রমিকরা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে এ অবস্থা চলতে থাকলে অটোরিকশা শ্রমিকরা এ পেশায় থাকা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়বে।২০১৫ সালের পরে মিটার চেকিংয়ের নামে চালকদের উপর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে এবং দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধ গতির কারণে পুলিশ এবং মালিকদের চাপের মুখে সিএনজি অটোরিকশা চালকের ছেলেমেয়ে বউ নিয়ে বাঁচার তাগিদে অনেক সময় মিটারে গাড়ি চালাতে পারছেনা, শ্রমিক নেতা আরো বলেন মালিকরা শিক্ষিত সচেতন হওয়ার পরেও ৯০০ টাকার জমা ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা নিচ্ছেন এই যানজটের শহরে সারা দিনে ১০০ কিলোর বেশি গাড়ি চালানো যায় না। মালিকের ভাড়ার টাকা পুলিশ ও সিটি টুলের টাকা তুলতে গিয়ে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করতে বাধ্য হচ্ছে এতে যাত্রীরা চালকের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। এমতাবস্থায় উন্নত যাত্রীসেবার লক্ষ্যে বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে মিটার রিডিংপুণঃ নির্ধারণ করার বিকল্প নেই, তাই অবিলম্বে আমাদের ৯দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে আহবান করা
যাচ্ছে, অটোরিকশা শ্রমিকদের ৯ দফা দাবির মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে বসবাস চালকদের নামে ৫০০০ সিএনজি অটোরিকশার নতুন নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
০২/মিটারের ভাড়া প্রথম ২ কিলো১৫০ টাকা পরবর্তী কিলো ৬০ টাকা এবং ওয়েটিং প্রতি মিনিট ৫ টাকা নির্ধারণ করতে হবে, মিটার ভাড়া পুনঃ নির্ধারণ না হওয়াপর্যন্ত মালিকদের দৈনিক জমা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৯০০ টাকার বেশি আদায় করা যাবে না।মিটারের সাথে হায়ার ফর হায়ার ডিভাইস দৃশ্যমান স্থানে লাগাতে হবে। ০৩/ চালকদের নিয়োগপত্র দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, সিএনজি অটোরিকশার জন্য প্রতিটি গ্যাস পাম্পে আলাদা নজেল ব্যবস্থা করতে হবে।০৪/পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত নো পার্কিং মামলা দেওয়া যাবেনা। ০৫/ ডোপ টেস্ট এর নামে পেশাদার ও অপেশাদার বৈষম্য দূর করে সবার জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং পেশাদার চালকদের ড্রপ টেস্ট সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করাতে হবে। ০৬/ সিএনজি-অটোরিকশা রাইড শেয়ারিং এর আওতাধীন নয় অথচ ও ভাই নামে একটি অ্যাপস কোম্পানি সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে রাইড শেয়ারিং চালাচ্ছে এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অবশ্যই এটা বন্ধ করতে হবে। ০৭/ সিটি কর্পোরেশনের টোলের নামে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। ০৮/ অটোরিকশাসহ সকল চালকদের জন্য প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড বরাদ্দ দিতে হবে। ০৯/ সকল চালকদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
শ্রমিক নেতারা বলেন আমাদের ৯দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠিন আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।মানববন্ধনে শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন, এম,এ,হাসেম,রমজান আলি, এম,এ,মজিদ,নুর মোরশেদ,জাকির হোসেন,মিজানুর রহমান সুমন,আবদুল বারেক দেওয়ান,এ,আর,মাসুদুর রহমান সরকার, আনোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন প্রধান,রুহুল আমিন,আলম খালাসি,কামাল হোসেন,শেখ মাসুদ,শেখ মাহবুব, মোঃহারুনুর রশিদ,গিয়াস উদ্দিন, জাহাংগীর হোসেন,প্রমুখ