• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
নেত্রকোনায় কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ১ নওগাঁয় সড়কে ঝরলো শিক্ষক সহ দু’ জনের প্রাণ, শিশুসহ ৬ জন আহত কলমাকান্দায় ৩০ বোতল ভারতীয় মদসহ এক ব্যক্তি আটক। ৩১ দফা বাস্তবায়নই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ — বেলাল ই বাকী ইদ্রিশী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্কমুক্ত হবে দেশ: জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের রাণীনগরে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু নওগাঁয় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী নওগাঁয় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু বাহুবলে সড়ক পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি প্রার্থী মখলিছুর রহমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ত্রাণপ্রত্যাশীসহ নিহত ১ হাজার ৭৬০ জাতিসংঘ
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
শহিদুল ইসলাম নওগাঁ জেলা সিনিয়র প্রতিনিধি / ১৫৪ জন দেখেছেন
আপডেটঃ শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

নওগাঁর রানীনগর ৩৬ ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধের পর হানাদার মুক্ত হয়

 

বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের চুড়ান্ত বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বরের বাকী আর ৬ দিন। ১৯৭১ সালের ১০ডিসেম্বর নওগাঁর রাণীনগর বাসীর জন্য একটি স্মরনীয় দিন। এই দিনে ৩৬ঘন্টা সম্মুখ যুদ্ধের পর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রথম হানাদার মুক্ত হয়। স্বাধীনতার সংগ্রামে সাড়া দিয়ে সারা দেশের ন্যায় এই উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা মাতৃভূমিকে শত্রু মুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে আগামী প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌছে দিতে আজও নির্মাণ করা হয়নি কোন স্মৃতি স্তম্ভ কিংবা বিজয় স্তম্ভ।
সূত্রে জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাবাসী আজকের এ দিনে শত্রুমুক্ত হয়ে বিজয় উল্লাস আর “জয় বাংলা, বাংলার জয়” জয়ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তুলেছিল রাণীনগর উপজেলার আকাশ-বাতাস। ১৯৭১ সালের ৯ই ডিসেম্বর রাণীনগর পাক-হানাদার মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদরে থাকা হানাদার ক্যাম্প চারিদিক থেকে ঘেরাও করেন। পরদিন ১০ই ডিসেম্বর ভোরে উভয় পক্ষের ৩৬ঘন্টার সম্মুখ যুদ্ধে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ১৭জন রাজাকার অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করেন। এই সময় পাক-হানাদার বাহিনী রেললাইন দিয়ে সান্তাহার অভিমুখে পালিয়ে যায়। সম্মুখ যুদ্ধে লুৎফর রহমান নামের এক মুক্তিযোদ্ধা পাক-বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। আর লুৎফর রহমানের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে পাক-হানাদার মুক্ত হয় রাণীনগর উপজেলা। তবে আগামী প্রজন্মের কাছে এই বার্তাটি পৌছে দিতে আজও উপজেলার কোন স্থানে নির্মাণ করা হয়নি কোন স্তম্ভ কিংবা কোন স্থাপনা যে স্থাপনা থেকে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মরা জানতে পারবে যে ১০ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়েছিলো এই উপজেলা।
রানীনগর উপজেলার চকমনু গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলুর ছেলে মিজানুর রহমান জনসন বলেন, আমি বাবার মুখে শুনেছি যে ১০ ডিসেম্বর জেলার প্রথম উপজেলা হিসেবে হানাদার মুক্ত হয় রাণীনগর উপজেলা। কিন্তু দু:খ্যের বিষয় হলো এই যে এতোবড় একটি অর্জনকে শত শত বছরের ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করে রাখতে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে এই গৌরবান্বিত অর্জনকে পৌছে দিতে আজোও উপজেলার কোন স্থানে নির্মাণ করা হয়নি কোন স্মৃতি কিংবা বিজয় স্তম্ভ। তাই বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষন করে উপজেলায় একটি বিজয় কিংবা স্মৃতি স্তম্ভ দ্রুত নির্মাণের জন্য দৃষ্টি আর্কষন করছি।
রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে যে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য রয়েছে সেটিকে আধুনিকায়ন করে সেখানে ১০ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে স্থায়ী ভাবে লেখনি স্থাপন করার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। যেন প্রতিটি মানুষই এই ভাস্কর্যের পাশ দিয়ে চলাচল করার সময় রাণীনগর উপজেলা যে ১০ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়েছিলো সেই বিষয়ে জানতে পারে। এছাড়াও সেখানে উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করার যুদ্ধে যিনি শহীদ হয়েছিলেন তার সম্পর্কেও তথ্যবিবরনী স্থাপন করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু বলেন এটি উপজেলাবাসীর জন্য খুবই দু:খ্যজনক যে স্বাধীনতার অর্ধশতাধিক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত একটি বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি যা থেকে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মরা জানবে যে ১০ডিসেম্বর রাণীনগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিলো। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয় এই বিষয়ে আমি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories