বিএনপির ‘শতাধিক’ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে, বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের একটি ফোরাম দাবি করছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপকভাবে কারাদণ্ড দেবার খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়ছে। ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হয়ে ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ভাবে তাদের নেতা-কর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে বলে, বিএনপি’র অভিযোগ।
বিএনপির নেতারা যাতে ভবিষ্যতে প্রার্থী হতে না পারে সেজন্যই এই সাজা দেয়া হয়েছে বলে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল অভিযোগ করেন।
বিবিসির একটি নিউজে দেখা যায়, গত সোমবার ঢাকা ও রংপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির ১৩০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়ার রায় দিয়েছে। তবে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া গত দুই দিনে বিএনপির ১৩৬ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে।
দেখা যায়, যাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে যানবাহনে আগুন দেয়া, ভাংচুর, পুলিশের উপর হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসব অভিযোগে ২০১৩ সালের মে মাস থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব এবং যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
ঢাকা ছাড়াও রংপুরের একটি আদালত সোমবার ২০১৩ সালের মে মাসে দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতার বিরুদ্ধে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।
আর এদিকে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। সে হিসেবে নির্বাচনের আর ৪৬ দিন বাকি রয়েছে।