আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগ থেকে চাইলেন অব্যাহতি, দল থেকে হলেন বহিষ্কার এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শামীম আহাম্মেদ সুমন ওরফে সুমন ভূইয়া। তিনি আরও বলেন, ১২ ডিসেম্বর অব্যাহতি চেয়ে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। পরে আমাকে রিসিভ কপি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন আশা করি দল আমাকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি প্রদান করবেন, আমি পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আমি আর আমার দায়িত্ব পালন করতে পারছি না।
আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহাম্মেদ সুমন ভূইয়া । সংবাদ সম্মেলনে অব্যাহতির কথা জানিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে চোখ জুড়ে জল আসতে শুরু করে তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আশুলিয়া জামগড়ায় নিজস্ব বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বাবার অকাল মৃত্যুর কারণে, পারিবারিক ভাবে তার পক্ষে আর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে অব্যাহতি চান তিনি।
অব্যাহতির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, তার পিতার মৃত্যু পর তিনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রচণ্ড বিপর্যস্ত। ফলে বর্তমানে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে, এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ করেই অব্যাহতি চাইছি। দল আমাকে অনেক দিয়েছে আমি দলকে কিছুই দিতে পারিনি এই কথা বলে কান্নাই ভেঙে পড়েন বঙ্গবন্ধুর একজন পরীক্ষিত নেতা সুমন আহমেদ ভূঁইয়া।
স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে এসে দলীয় কোন চাপের কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন আর দলতো আলাদা জিনিস । আমি কোন ধরনের চাপে নেই। শুধুমাত্র পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য দলের অনুমতি চাইছি। আমাকে যারা পদ দিয়েছেন আমি তাদের কাছেই অব্যাহতির অনুমতি চেয়েছি। আমি আওয়ামী লীগের সাথে ছিলাম, আছি এবং আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের জন্যই কাজ করব ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, সুমন ভুঁইয়ার পিতা ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মদ ভুইয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যেম ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।