
ব্যুরো প্রধান, নেত্রকোণাঃ
নেত্রকোণা জেলাধীন পুর্বধলা উপজেলায় বিভিন্ন মামলায় মিথ্যেভাবে জড়িয়ে আসামি করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের।
গত ০১.১২.২০২৩ বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে নেত্রকোণা জেলাধীন পুর্বধলা উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গেলে উঠে আসে এসব তথ্য।
সম্প্রতি নোয়াপাড়া গ্রামে জমিজমার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মোখশেদুল আলম(৩০) এবং সৎ ভাই বিপুল মিয়া(২০) ও সেকুল মিয়া(১৮)-র মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়ে আসছিলো। এরই জেড় ধরে গত ১৫.১১.২০২৩ তারিখ আনুমানিক ১১.০০টায় স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং পরিষদের সকল সদসয়বৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। উক্ত সালিশ মানা নামানার মধ্যে সমাপ্তি দিয়ে সবাই সবার কাজে চলে যায়।
একই দিন বেলা ৩টায় আবারো জগড়ার সৃষ্টি হয়, এতে করে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। উল্লেখ্য সালিশে উপস্থিত থাকা আলমগীর এবং মোশারফ এই সালিশে একটি পক্ষের পক্ষপাতিত্ব করছিল বলে জানা যায়। এরই জেরে আমলগীর এবং মোশারফ সহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। পরবর্তীতে আহত আলমগীর এবং মোশারফের বাবা মোঃ ইসহাক মিয়া বাদী হয়ে গত ২১.১১.২০২৩ তারিখ সাত জনকে আসামী করে পুর্বধলা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন এবং উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার প্রাপ্ত হইয়া মামলা আকারে ১৮ নাম্বারে অন্তর্ভুক্ত করে ১৪৩,৩৪১,৩২৩,৩২৪,৩২৬,৩০৭,৫০৬,১১৪ ও ৩৪ ধারায় রুজু করাহয়।
এদিকে মামলার এজহার অনুযায়ী, ১ নং আসামী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক(২৮)পিতাঃ আব্দুল মোমেন এবং ২ নং আসামী আব্দুল আওয়াল(৩৫)পিতাঃ আব্দুর রহিম, উভয় গ্রাম নোয়াপাড়া।
১ নং আসামী মোঃ আবু বকর পেশায় একজন ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক। অন্যদিকে ২নং আসামী আব্দুল আওয়াল পেশায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি।
সাংবাদ তদন্তে ঘটনায় প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ উপস্থিত লোকজনের সাথে কথা বলে, মূল যে বিষয়টি উঠে এসেছে, ১৫.১১.২০২৩ বেলা ১১ টায় স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশি কার্যক্রম সমাপ্তি দেয়া হয় এবং এলাকার গন্যমান্য লোকজন যার যার বাড়িতে চলে যায়। অন্যদিকে চেয়ারম্যানসহ উনার পরিষদের সকল সদস্য উল্লেখিত ২ নং আসামী আব্দুল আওয়াল (ইউপি সদস্য)-র বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। খাওয়া শেষে আব্দুল আওয়াল সহ সবাই পরিষদে চলে যায়।আর এদিকে ১ নং আসামী মোঃ আবু বকর প্রতিদিনের মতো যথারীতি উনার কাজে চলে যান।
এলাকাবাসী আরো জানান ঘটনা তিনটা থেকে সারে তিনটার ভেতরে হয়েছে, এসময় আবু বকর এবং আব্দুল আওয়াল ঘটনাস্থলে ছিলেননা, তারা অনেক পরে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
এই মামলায় মোঃ আবু বকর ও আব্দুল আওয়ালকে মিথ্যেভাবে আসামী করায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা এবং বাদীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী আরো বলেন,এই ইসহাক মিয়া বিগত দিনে আরো অনেক মানুষকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে নিঃশ্ব করে দিয়েছে।
তার এই আচরণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
হয়রানি এবং মিথ্যা মামলার কবল থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পাশাপাশি আবু বকর এবং আব্দুল আওয়াল সহ যাদেরকে মিথ্যেভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে তাদেরকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছে।
এদিকে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন বিষয়টি তদন্ত করে যেটা সঠিক সেভাবেই চার্জশিট দাখিল করবো।