ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনের সবুজবাগ থানার মানিকনগর ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সড়কজুড়ে কেবল সাবের হোসেন চৌধুরীর পোস্টার। এই পোস্টারের চিত্রই বলে দিচ্ছে অনেক কিছু।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বর্জনের এই ভোটে যারা আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের মধ্যে ভোটারদের কাছে সেভাবে পরিচিত বা গোটা নির্বাচনি এলাকায় প্রভাব আছে এমন কেউ নেই।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে বহু আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থীদের কপালে ভাঁজ তৈরি করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে এই আসনটিতে সাবেরের এমন কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের, সোনালী আঁশ প্রতীকে তৃণমূল বিএনপির রুবিনা আক্তার টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, কাঁঠাল প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ারুল ইসলাম, একতারা নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মাহিদুল ইসলাম, আম নিয়ে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ কফিল, ছড়ি প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. নূরুল হোসাইন এবং মাছ নিয়ে গণফ্রন্টের তাহমিনা আক্তার।
দৃশ্যত ফুরফুরে সাবের চৌধুরী । ১৯৯৬ সালে প্রথমবার নির্বাচনে বাজিমাত করার পর এখন পর্যন্ত বড় কোনো বিতর্কে জড়াননি তিনি। ২০০১ সালে হারলেও পরের তিনটি নির্বাচনে জিতেছেন। তার পরিচিতি ভোটারদের কাছে অন্যদের তুলনায় বেশি, সেই সঙ্গে আছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তি।
তবে ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলাফল হয়েই থাকে, ভোটের আগে অচেনা প্রার্থীও নানা সময় বাজিমাত করে ফেলেন- এই বিষয়টি অজানা নয় সাবেরের কাছে। তাই তিনি কোনো প্রার্থীকেই দুর্বল মনে করছেন না। আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হতেই তার কর্মী সমর্থকরা নেমে গেছেন ভোট প্রার্থনায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ভোটারদের কাছে দেখা গেল ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরীকে
।