• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
মধ্যনগরে ১৭ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ফোন জব্দ করলো বিজিবি নেত্রকোণায় বিকাশ কর্মী রিজন হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত আজমিরীগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন। ‎মুক্তিপণ নিয়েও রক্ষা হলো না জহিরুলের প্রাণ, নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার কলমাকান্দা বিএনপির সাবেক নেতা আনোয়ারুল ইসলাম টুটনের দাফন সম্পন্ন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারের রহস্যজনক মৃত্যু ও মরদেহ উদ্ধার মধ্যনগরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। বাঁশখালীতে মামলার বাদীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা, পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ খালেদা জিয়ার জন্মদিনে শাহজাদপুরে খান মজলিস পরিবারের দোয়া মাহফিল
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
ইমাম হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার / ১৮৭ জন দেখেছেন
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা,দৈনিক দেশবাংলা প্রতিদিনপরিবারের। 

 

আজ আমাদের জাতীয় জীবনের একটি শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে সংযোজিত হয়েছিল এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে মেতে উঠে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা হত্যা করে জাতির অনেক কৃতী সন্তানকে।

এ হত্যাযজ্ঞের একটি বড় উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা লাভের আগেই মেধাশূন্য করে ফেলা। ২৫ মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করার পর থেকেই পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা গণহত্যার পাশাপাশি বেছে বেছে কিছু মানুষকে হত্যা করে, যারা বিবেচিত হতেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক হিসাবে। মুক্তিযুদ্ধের গোটা সময়টায় ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা শহরে হত্যা করা হয় তাদের। পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর হত্যাকারীরা ঢাকার রায়েরবাজার, মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই তাদের নিকটাত্মীয়রা বধ্যভূমিতে স্বজনদের লাশ খুঁজে পান। বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্যাতন করেছিল পৈশাচিকভাবে। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, তাদের কারও চোখ-হাত-পা বাঁধা, কারও শরীর ক্ষতবিক্ষত। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। অনেকের লাশ খুঁজেও পাওয়া যায়নি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর একটি ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। প্রাণরক্ষার্থে অথবা প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে অনেক বুদ্ধিজীবী দেশত্যাগ করায় তারা রেহাই পান ওই হত্যাযজ্ঞ থেকে। নয়তো তাদেরও হতে পারত একই পরিণতি।

বুদ্ধিজীবীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনসাধারণকে স্বাধিকারের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিলেন এবং সহায়তা জুগিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমরা হারিয়েছি, তাদের অধিকাংশই ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে খ্যাতিমান। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাঙালির বিজয় অর্জনের ফলে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ অনেকটাই বিষাদে পরিণত হয় লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কারণে। বুদ্ধিজীবীসহ ৩০ লাখ শহিদ ও অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমহানির মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমি।

স্বস্তির বিষয়, দেরিতে হলেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের প্রায় সবারই বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশ কার্যকরও হয়েছে। বাকি যুদ্ধাপরাধীদেরও পর্যায়ক্রমে বিচার করা হবে বলে ধরে নেওয়া যায়। বস্তুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করাই একাত্তরের শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান দেখানোর উত্তম পথ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শহিদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা, সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন। দেশের জন্য বড় ধরনের অবদান রাখতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকদের নির্মমতায় তারা সেটি পারেননি। এটা নিঃসন্দেহে জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যখন আমরা তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারব। জাতি আজ আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ওইসব মানুষকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রইল দৈনিক দেশ বাংলা প্রতিদিন পরিবারের বিনম্র শ্রদ্ধা।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories